কলকাতা: শরীর সুস্থ রাখার মূল উপাদান ভাল খাবার। এমন খাবার যা থেকে পুষ্টি উপাদান শরীরের বিভিন্ন অংশে কাজে লাগে। পুষ্টি সম্পর্কে জন সচেতনতা তৈরির জন্য প্রতি বছর ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালন করা হয় থাকে। খাদ্যাভ্যাস সহ কোন খাবারে পুষ্টিগুণ কতটা সে সম্পর্কে ধারণা তৈরি করাই এই বিশেষ সপ্তাহ পালনের উদ্দেশ্য।


বেড়ে ওঠা, সুস্থ থাকা এবং স্বাভাবিক জীবনের জন্য প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই ব্যালেন্স ডায়েট খুব গুরুত্বপূর্ণ। কম বেশি প্রায় সব খাবারেই রয়েছেই পুষ্টি। কোনও ব্যক্তি কোনও খাবার থেকে কতটা পুষ্টি পেতে পারেন বা কোন পুষ্টিগুণ তার প্রয়োজন তা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওজন, বয়স, রোগের উপর।


আরও পড়ুন: সাদা ভাত খেলে ওজন বাড়ে না কমে?


জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের থিম ২০২১: এবছরের থিম- প্রথম থেকেই সঠিক প্রতিপালন। বিশেষ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সেমিনার এবং ক্যাম্পের মাধ্যমে এই সম্পর্কে তথ্য প্রদান এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। শিশুরা জন্মের পর থেকেই কীভাবে পুষ্টিকর খাদ্য থেকে উপকৃত হতে পারে, সে সম্পর্কে জানানো হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি ভারত পোষণ প্রিমিয়ার কুইজ, গুড ফুড টক শো-র মতো কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে অংশ নেবেন তরুণ, শিল্পপতি থেকে বয়স্করা।


জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সপ্তাহের ইতিহাস: ১৯৭৫ সালে মার্চ মাসে প্রথম জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালন  করা হয়। তৎকালীন আমেরিকান ডায়েটিক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে শুরু হয় বিশেষ সপ্তাহ পালন। পুষ্টি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি পেশা হিসেবে ডায়েটিশিয়ানকে তুলে ধরাই ছিল লক্ষ্য। ১৯৮২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালনের উদ্যোগ নেয়। পুষ্টির তাৎপর্য সম্পর্কে জানানো, পুষ্টিগুণ যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ সহ জীবনযাপনের জন্য এই কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়।


জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের তাৎপর্য: কেউ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হলে মস্তিষ্কও সঠিকভাবে কাজ করে। পুষ্টি এমন এক জিনিস যা প্রতিদিনের জীবনে প্রয়োজন হয়। প্রতিদিনই সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য অপরিহার্য। সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক কর্মসূচি আয়োজন করে থাকে কেন্দ্রে নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক। যার মূল উদ্দেশ্য পুষ্টি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি।


আরও পড়ুন: স্বাভাবিক উপায়েই উন্নত করুন নিজের স্মৃতিশক্তি