কলকাতা: সুস্থ থাকতে গেলে সবার আগে নজর দিতে হয় খাওয়া-দাওয়ায়। বিভিন্ন পোষক পদার্থ যাতে ঠিকমতো মেলে তার দিকে খেয়াল রাখতে হয়। সেই তালিকার মধ্যেই পড়ে ভিটামিন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল রাখা থেকে কোষ উৎপাদন প্রক্রিয়া ঠিক রাখা- ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা তালিকা বেশ লম্বা। তার মধ্যেই যদি বাছাই করতে হয়। তাহলে অবশ্যই প্রথম সারিতে পড়বে ভিটামিন ডি।

ভিটামিন ডি (Vitamin D)- মানবদেহের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস (micronutrients). হাড় ও দাঁতের গঠন ভাল রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই ভিটামিন। ভিটামিন ডি-এর অভাবে নানা সমস্যা দেখা যায়। পিঠে-কাঁধে ব্যথা, চুল ঝরে যাওয়া, ঘা শুকোতে দেরি হওয়া, হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে মহিলাদের হাড় দ্রুত ক্ষয় পেতে থাকে। ভিটামিন ডি-এর অভাবে ভোগেন অধিকাংশ মহিলা। নানা রোগেও আক্রান্ত হন। এগুলো রুখতে গেলে প্রথম থেকে প্রয়োজনীয় পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়ার দিকে নজর দিতে হবে।

সূর্যের আলো:
ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যের আলো পড়লে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় ভিটামিন ডি তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, সূর্যালোকে থাকাই প্রাকৃতিক ভাবে ভিটামিন ডি তৈরির সবচেয়ে ভাল উপায়। ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা, হাড়ের গঠন, শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা রয়েছে।

ডিমের কুসুমে নজর:
অনেকেই কুসুম ছাড়া ডিম খান। অতিরিক্ত ফ্যাট এড়ানোর জন্য এমন করা হলেও, এতে হাতছাড়া হয় বিপুল পরিমাণ পুষ্টি। ডিমের কুসুমে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। ফলে সবসময় ডিমের কুসুম বাদ দেওয়া ভাল নাও হতে পারে। পাশাপাশি ডায়েটে ডিম রাখাও প্রয়োজন। কারণ ডিম প্রোটিনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎস।  

ডায়েটে থাকুক মাশরুম:
নিরামিষাশীদের প্রোটিনের অন্যতম ভরসার উৎস হচ্ছে মাশরুম। পাশাপাশি, মাশরুম পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি-এরও উৎস। বলা হয়ে থাকে, জলে ভাল করে ধুয়ে রোদে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিলে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ বেড়ে যায় মাশরুমে।

পনির থেকে বাদাম:
ভিটামিন ডি-পেতে গেলে সুষম আহার প্রয়োজন। নানা ধরনের খাবার রাখতে হবে পাতে। গরুর দুধ রাখা যেতে পারে। দুধ সহ্য না হলে পনীর বা চিজ ভিটামিন-ডি- এর উৎস হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া, আমন্ড মিল্ক বা হেম্প মিল্ক ভিটামিনের ভাল উৎস।

প্রয়োজনে আরও কিছু:
শিশু, গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে ভিটামিনের জন্য বাড়তি খাবারের দরকার হয়। এছাড়া, অনেক সময় ভিটামিনের ঘাটতিতে ভোগা মহিলাদেরও সুরাহা দিতে সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা হয়। কখনও কোনও ট্যাবলেট, কখনও কোনও বিশেষ পানীয় অথবা আরও কিছু জিনিস ভিটামিনের ঘাটতি পূরণের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে এগুলির ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। নিজের ইচ্ছেমতো সাপ্লিমেন্ট কিনে খেয়ে নেওয়া সুরাহার চেয়ে বেশি সমস্যা তৈরি করতে পারে।

ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন। 


আরও পড়ুন: হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, ভাল রাখে ত্বকও; পাতে মেথি শাক রাখছেন তো?