কলকাতা : শীতে শীত নেই। আছে রোগের রক্তচক্ষু। সর্দি-জ্বর-কাশি...ঘরে ঘরে লেগেই আছে। শীতে যে ভাবে পারদ উঠছে-নামছে, তাতে দ্বিধায় অভিভাবকরা। বেশি করে গরমের পোশাক পরানোয় অনেক সময়ই বাচ্চারা ঘেমে যাচ্ছে। তার জেরেও ঠাণ্ডা লাগছে। চিকিৎসকদের তাই পরামর্শ,
- সকাল, সন্ধে, রাতে, গরম জামা পরানোর বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
- শীতের ভোলবদলে সর্দি-জ্বর-কাশির সঙ্গী হয়েছে পেট খারাপ। চিকিৎসকদের পরামর্শ, বেশি করে জল খেতে হবে।
- শীত পড়ার আগে ফ্লু ভ্যাকসিন নিতে হবে।
- নির্দিষ্ট সময়ে নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নিতেই হবে ।
- ঠাণ্ডা যাতে না লাগে তার জন্য গরম জামাকাপড়। আবার শীতের পোশাক পরে বেরিয়ে ঘামতে হচ্ছে।
- জ্বর হলেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া চলবে না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
- ওষুধ খেতে হলে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই খেতে হবে।
- কাকভোরে হাঁটতে বেরবেন না, ভাসমান ধূলিকনা নীচে থাকে, সূর্য ওঠার পর তাপমাত্রা বাড়লে বেরবেন। সান্ধ্যভ্রমণ এড়িয়ে চলুন।
- সহজপাচ্য খাবার খাবেন বেশি গরম পোশাক এড়িয়ে চলবেন।
- অ্যালার্জি হোক বা ঠান্ডা লাগা, উপসর্গে মিল থাকলেও, চিকিৎসার ধরণ কিন্তু আলাদা। তাই ডাক্তার না দেখিয়ে ওষুধ খেতে বারণ করছেন চিকিৎসকরা।
- শীতকালীন সব্জি ও ফল খাওয়াতে হবে
- জ্বর-বমি-পেট খারাপ হলে, জলের সঙ্গে প্রয়োজনে ওআরএস খাওয়াতে হবে ।
না পড়েছে জাঁকিয়ে শীত। না রয়েছে পুরোদস্তুর গরম। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় ঘরে ঘরে বাড়ছে জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ। এই পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকতে এই নিয়মগুলো মেনে চলা কিন্তু আবশ্যিক।
হেমন্তেও চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ। শনিবার থেকে রাজ্যে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামীকাল থেকে বাড়বে তাপমাত্রা। কমবে শীতের আমেজ। পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। আজ কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, তাইল্যান্ডের কাছে উপকূলে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। শুক্রবারের মধ্যে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।