Heart Attack Risk: প্রতিদিনের জীবনে সহজ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারলেই আপনি এড়াতে পারবেন হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি। আজকাল অল্প বয়সীদের মধ্যেও বাড়ছে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা। তাই দৈনন্দিন জীবনে নিয়মশৃঙ্খলা প্রয়োজন। ছোট ছোট কোন পরিবর্তনের মাধ্যমে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পারবেন, দেখে নিন একনজরে।
- ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করতেই হবে। অতএব সিগারেটকে আজ থেকে 'টাটা' বলুন সুস্বাস্থ্যের জন্য। হার্ট ভাল রাখতে চাইলে মদ্যপানের অভ্যাসও ত্যাগ করা জরুরি। তবেই আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকবে।
- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের দিকে নজর দিন। প্রতিদিনের মেনুতে ফাইবার যুক্ত খাবারই বেশি রাখতে পারলে ভাল। ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ফাইবার। তার ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক - এইসব হওয়ার ঝুঁকি কমবে।
- নিয়মিত শরীরচর্চা করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। যত বেশি ওজন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি তত বেশি। তাই ওজন কোনওভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নজর দিতে হবে খাওয়া-দাওয়ার দিকেও।
- শুধু চিনি নয়, নুন খাওয়ার পরিমাণও কমাতে হবে। বেশি নুন খেলে ব্লাড প্রেশার বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতাও। তাই ভাতের পাতে কাঁচা নুন কিন্তু একেবারেই খাবেন না।
- স্ট্রেসের কারণেও কিন্তু হার্টের অসুখ হয়। স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। অল্প বয়সীরা তাই যেভাবেই হোক স্ট্রেস কমান। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাহায্য নিন। তবে স্ট্রেস কমাতেই হবে হার্ট ভাল রাখতে চাইলে।
- ডার্ক, চকোলেট, গ্রিন টি কিংবা লিকার চা খেতে পারেন অল্প পরিমাণে। এগুলি আপনার হৃদযন্ত্রের ভালভাবে খেয়াল রাখবে। কিন্তু স্বল্প পরিমাণে খেতে হবে। নাহলে উপকারের তুলনায় সমস্যা হবে বেশি।
- নিয়মিত ভাবে ব্লাড প্রেশার, সুগার এই দুটো চেক করাতে হবে। সামান্য উপর-নীচে হলেই সতর্ক হওয়া জরুরি। নাহলে হার্ট ফিট থাকবে না। তাই ডাক্তার দেখানোর ব্যাপারে অনীহা বাদ দিন। মাঝে মাঝে অবশ্যই ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে শরীরে চেকআপ করানো জরুরি।
আরও পড়ুন- রাত পেরোলেই সরস্বতী পুজো, হাতে ১৫ মিনিট থাকলেই ফিরে পাবেন ত্বকের জেল্লা
আরও পড়ুন- রোজ পাতে ৫টা ছোট্ট মাশরুম, দূরে থাকবে হার্টের অসুখ, রুখে দেওয়া যাবে ক্যান্সার
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।