Early Dinner Health Benefits: সুস্থ থাকার জন্য কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন সেদিকে নজর দেওয়া যেমন জরুরি, তেমনই কখন খাবার খাচ্ছেন, অর্থাৎ খাবার খাওয়ার সময়ের দিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজনীয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় আমরা অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকি। তারপর খাবার খাই। এই অভ্যাস থাকলে কিন্তু শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে বাধ্য। অতএব সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া জরুরি। যাঁরা ওজন কমানোর জন্য কড়া নিয়ম মেনে চলছেন, তাঁরা দিনের অন্যান্য সময়ের খাবারের ব্যাপারে তো বটেই, বিশেষ করে নজর দিন রাতের খাবারের সময়ের দিকে। অর্থাৎ সঠিক সময়ে ডিনার সেরে নেওয়া খুবই জরুরি।
সন্ধেবেলায় রাতের খাবার খেয়ে নিলে শরীরের কী কী উপকার হবে ?
দেরি করে রাতের খাবার খেলে শরীরে দেখা দিতে পারে অনেক সমস্যা। বিভিন্ন ভাবে শরীর খারাপ হতে পারে আপনার। তাই সঠিক সময়ে ডিনার অর্থাৎ রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া উচিত। আর ডিনারের মেনু হতে হবে হাল্কা। অর্থাৎ খুব ভারী খাবার, গুরুপাক খাবার, তেল মশলা যুক্ত খাবার, ভাজাভুজি এগুলি ডিনারের মেনুতে না রাখাই শ্রেয়। রাতের খাবারের মেনুতে অতি অবশ্যই সহজপাচ্য খাবার রাখুন। তাহলে খাবার সহজে হজম হবে। বদহজম, অ্যাসিডিটি, গ্যাসের সমস্যা দেখা দেবে না। অতএব বেশি দেরিতে রাতের খাবার খাওয়ার অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। তাহলেই উন্নতি হবে শরীর-স্বাস্থ্যের।
- রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে নিলে হজম সংক্রান্ত যাবতীয় সময় দূর হবে। খাবার ভালভাবে হজম হবে। বদহজম, অ্যাসিডিটি এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তাড়াতাড়ি ডিনারের অভ্যাস করা জরুরি।
- আগে ডিনার করলে, খাবার খাওয়া এবং ঘুমোতে যাওয়ার মধ্যে বেশ কিছুটা সময়ের ব্যবধান থাকে। এই ব্যবধান থাকা জরুরি।
- যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁরা অবশ্যই রাতের খাবার দ্রুত সেরে নেওয়ার অভ্যাস করুন। নাহলে ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
- ডিনার তাড়াতাড়ি সেরে নিলে আপনার রাতের ঘুম ভাল হবে। কারণ খাবার ভালভাবে হজম হলে, ঘুম ভাল হবে আপনার।
- রাতের খাবার তাড়াতাড়ি সেরে নিলে, মেটাবলিজম রেট ভাল থাকে আপনার শরীরে। তার ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজন।
রাতের খাবার খেয়ে নেওয়ার পর অন্তত এক ঘণ্টা বিশ্রাম নিন। তারপর হাঁটতে বেরোতে পারেন। খাবার খাওয়ার পর ২০ মিনিট হাঁটতে পারলে আপনার শরীর থাকবে ঝরঝরে। খাবার ভালভাবে হজম হয়ে যাবে। আপনার ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।