Health Tips: অনেক খাবার রয়েছে যেগুলি ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা খাওয়ার অর্থ 'বিষ' খাওয়া। ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার এমনিতেও ভালভাবে গরম করে না খেলে স্বাস্থ্যের অবনতি হতে বাধ্য। ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে আমরা অনেকেই মাইক্রোওয়েভে গরম করে নিই। কিন্তু এভাবে গরম করলে অনেকক্ষেত্রেই খাবার ঠিকভাবে গরম হয় না। আর সেই অবস্থায় খাবার খাওয়া উচিৎ নয়। এসব ক্ষেত্রে মাইক্রোওয়েভের পরিবর্তে গ্যাস ওভেন ব্যবহার করাই শ্রেয়। কোন কোন খাবার ফ্রিজে রাখলে তা বের করে মাইক্রোওয়েভে নয়, বরং গ্যাস ওভেনে গরম করবেন, দেখে নিন সেই তালিকা।
- মাইক্রোওয়েভে মুরগির মাংস গরম করে খাওয়া উচিৎ নয়। মুরগির মাংস ভালভাবে গরম করতে হলে গ্যাস ওভেনের ব্যবহার করাই ভাল। ঠান্ডা মাংসে ব্যকটেরিয়ার বৃদ্ধি হয়। এই খাবার খেলে পেটের সমস্যা হবে অবধারিত। আর মাইক্রোওয়েভে মাংস ভালভাবে গরম হয় না। ফ্রিজে রাখা মাংস বের করে ভালভাবে গ্যাস ওভেনেই গরম করে নেওয়া জরুরি।
- ডিমের কোনও রেসিপিও মাইক্রোওয়েভের তুলনায় গ্যাসে গরম করাই ভাল। প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম মাইক্রোওয়েভে গরম করলে খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মাইক্রোওয়েভে ডিম গরম করলে প্রোটিনের স্ট্রাকচার নষ্ট হয়। শক্ত হয়ে যায় ডিম। এছাড়াও ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি হতে পারে।
- পালংশাক কিংবা যেকোনও শাকজাতীয় খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করে না খাওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। বিভিন্ন শাকে নাইট্রেট থাকে। মাইক্রোওয়েভে এইসব শাক গরম করলে নাইট্রেট পরিণত হয় নাইট্রাইটে, যা খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক খারাপ।
- বিভিন্ন ধরনের স্যুপ আমরা অনেক সময়েই খেয়ে থাকি। স্যুপ মাইক্রোওয়েভে গরম করে খাওয়া শরীরের পক্ষে খারাপ। স্যুপ, স্টু এই জাতীয় খাবার মাইক্রোওয়েভে ঠিকভাবে গরম হয় না। স্বাদ নষ্ট হয় খাবারের। এছাড়াও ব্যাকটেরিয়া বাড়তে পারে। স্যুপ বা স্টুতে দুধ কিংবা ক্রিম থাকলে খাবার নষ্ট হয়ে যাবে মাইক্রোওয়েভে গরম করলে।
- ভাত মাইক্রোওয়েভে গরম করে খাওয়া কখনই উচিৎ নয়। ঠান্ডা ভাত খাওয়ার আগে ভালভাবে ফুটিয়ে না নিলে বিপদ। খাবারে তৈরি হয়ে যাবে ব্যাকটেরিয়া। মাইক্রোওয়েভে গ্যাসের মতো ভালভাবে ভাত ফুটিয়ে গরম করা যায় না। তাই ফ্রিজের ভাত খেতে হলে গ্যাসেই ফুটিয়ে নেওয়া ভাল।
আরও পড়ুন- ওজন কমাতে কোন খাবারের পরিবর্তে কোন খাবার খাওয়া উচিত? মেনুর সামান্য বদলেই ঝরবে মেদ
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।