Heart Health: কোলেস্টেরল বিশেষ করে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। তাই ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী খাওয়া উচিৎ, দেখে নিন একনজরে। হার্টের সমস্যা থাকলে এমনিতেই খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে প্রচুর নিয়মকানুন থাকে। আর কোলেস্টেরলের মাত্রা যদি বেশি থাকলে তাহলে অনেক খাবারই চিরতরে বাদ হয়ে যায় জীবন থেকে। 


ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বেশ কয়েকটি খাবার দারুণ ভাবে সাহায্য করে। এগুলি আপনি পাতে রাখছেন তো? 



  • বিভিন্ন ধরনের বাদাম ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে অল্প পরিমাণে খেতে হবে। নাহলে বাড়বে বিপদ। রোজ আমন্ড এবং আখরোট খেতে পারেন ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্য। তবে পরিমাণের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। 

  • রান্না করার ক্ষেত্রে সরষের তেল কিংবা সাদা তেলের পরিবর্তে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারলে। কোলেস্টেরলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে অলিভ অয়েলে রান্না করলে অনেকেরই গন্ধ লাগে। সেক্ষেত্রে সরষের তেলের পরিমাণ কমিয়ে বাড়িতে রিফাইন তেলের ব্যবহার বাড়াতে হবে। 

  • অ্যাভোকাডো- র মধ্যে রয়েছে হেলদি ফ্যাট, যা আমাদের শরীরে ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। টোস্টের সঙ্গে অ্যাভোকাডো পেস্ট খেতে পারেন আপনি। এছাড়াও এই ফল এমনিও খাওয়া যায়। তবে অ্যাভোকাডোর কোনও স্বাদ নেই সেই অর্থাৎ। 

  • বিভিন্ন ধরনের 'বিনস' খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে কোলেস্টেরলের মাত্রা। এই তালিকায় রাজমা রাখতে পারেন। খুবই উপকারী এই খাবার। রাজমা খেলে আপনার শরীরে ভরপুর পুষ্টির জোগান থাকবে। 

  • স্যামন মাছের মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই মাছে থাকা হেলদি ফ্যাট কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, নিয়ন্ত্রণে রাখে। হেলদি ফ্যাট যুক্ত অন্যান্য মাছও রাখতে পারেন পাতে। এগুলি ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্ট ভাল রাখে। 

  • ওটস আজকাল সকলেই খান। ব্রেকফাস্টে ওটস খাওয়া সবচেয়ে ভাল। এই খাবার নিয়মিত খেতে পারলেও ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এর সঙ্গে অল্প পরিমাণে ড্রাই ফ্রুটসও মিশিয়ে নিতে পারেন আপনি। দুধ দিয়ে ওটস খেলে দিতে পারেন বিভিন্ন ফল। ওটসে ফাইবার থাকায় এই খাবার অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখবে। খাইখাই ভাব কমাবে। বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাবে। 

  • রোজ একটা আপেল খেলে ভাল থাকবে হার্ট। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে এই ফল দারুণভাবে সাহায্য করে। তবে বেশি পরিমাণে খাবেন না। উল্টে বিপদ হতে পারে। 


ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।