Heart Health: অল্প বয়সীদের মধ্যে আজকাল হার্ট অ্যাটাকে প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। যদি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে চান, তাহলে দৈনন্দিন জীবনে নিয়ম মেনে চলতে হবে আপনাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে কী কী করবেন, দেখে নিন।
হাল্কা স্ট্রেচিং
সকালে ঘুম থেকে উঠে হাল্কা স্ট্রেচিং করুন। এটি একপ্রকার কার্ডিও ওয়ার্ক আউট। হার্টের পেশী বেশি পরিমাণ রক্ত পাম্প করতে সমর্থ হবে এর সাহায্যে। অনেকেই সকালে উঠে ফ্রি-হ্যান্ড একসারসাইজ করে তারপর মূল ওয়ার্ক আউট শুরু করেন। কেউ যোগাসন করেন, কেউ জিমে যান। কেউ বা হাঁটতে যান, দৌড়তে যান, জগিংয়ে যান। এইসব ভারী ওয়ার্ক আউট শুরুর আগে ফ্রি-হ্যান্ড একসারসাইজের সাহায্যে ওয়ার্ম আপ করে নিলে ভাল। আর সেই রুটিনে যুক্ত করুন হাল্কা স্ট্রেচিং করার অভ্যাস। এর ফলে হাত-পায়ের জড়তা কাটবে।
শরীর হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন
ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জল খেতে হবে। হাল্কা উষ্ণ জল খেতে পারেন। মিশিয়ে নিন সামান্য পাতিলেবুর রস। এর ফলে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। চাইলে ঈষদুষ্ণ গরম জল শুধুই খেতে পারেন। আবার লেবুর রসের সঙ্গে সামান্য মধু দিয়েও হাল্কা গরম জল সকালে খলি পেটে খেতে পারেন। তবে এই পানীয় নাগাড়ে অনেকদিন খাবেন না। মাঝে মাঝে বিরতি দেওয়া জরুরি। নাহলে বদহজম, অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।
শরীরে প্রয়োজন সঠিক মাত্রা ভিটামিন ডি
সকালে বাড়ির বাইরে হাঁটতে যান, ওয়ার্ক আউট করুন। রোদে থাকলে ভালভাবে শরীরে ভিটামিন ডি ঢুকবে। হার্টের পক্ষে এই ভিটামিন ভাল। তাই হাল্কা স্ট্রেচিং হোক বা ফ্রি-হ্যান্ড একসারসাইজ কিংবা যোগাসন, সম্ভব হলে এগুলি বাড়ির বাইরে সকালের রোদে বসে সেরে নিন। উপকারই পাবেন।
ঘুম থেকে উঠেই হাতে ফোন নয়
সকালে উঠেই ফোন নিয়ে বসবেন না। অফিসের মেসেজ দেখলে বাড়তে পারে স্ট্রেস। এছাড়াও ফোন হাতে বসলে অনেকটা সময়ও নষ্ট হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে কোনও ধরনের গ্যাজেট নিয়েই না বসলে ভাল।
সকালে নিয়ম করে ধ্যান করুন
রোজ সকালে অন্তত ১০ মিনিট মেডিটেশন করুন। এর ফলে শুধু যে হৃদযন্ত্র ভাল থাকবে তাই নয়, উপকার পাবেন আরও অনেক। স্ট্রেস কমবে আপনার। সারাদিন মনমেজাজ শান্ত থাকবে।
স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট খেতে হবে
ব্রেকফাস্টে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। প্রোটিন, ফাইবার আর হেলদি ফ্যাট যুক্ত খাবার ব্রেকফাস্টে খেলে ভাল থাকবে হার্ট। পেটও ভরে থাকবে অনেকক্ষণ। তাই ব্রেকফাস্টের মেনুতে নজর দিন।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।