Sanitary Napkins: ঋতুস্রাবের (Menstruation) সময় এমনিতেই মহিলাদের বিশেষ ভাবে হাইজিনের (Hygiene) দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সামান্য অসাবধানতার কারণেও বড় বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন আপনি। তাই হাইজিনের ব্যাপারে অতিরিক্ত সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সেই কারণেই বারবার ঋতুস্রাবের সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন (Sanitary Napkins) ব্যবহারের কথা বলা হয়। যদিও এখনও বাংলার গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গাতেই স্যানিটারি ন্যাপকিনের চল হয়নি। তবে শহর এবং শহরতলিতে ভালভাবেই এই স্যানিটারি ন্যাপকিনের চল রয়েছে। কিন্তু আপনার স্যানিটারি ন্যাপকিন কতটা সুরক্ষিত বা আদৌ সুরক্ষিত তো? সম্প্রতি এই প্রশ্ন আরও বেশি করে প্রকট হয়েছে। কারণ একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে যে সমস্য নামিদামি সংস্থার স্যানিটারি ন্যাপকিন বাজারে ঢালাও বিক্রি হচ্ছে তার মধ্যে নাকি ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ মেশানো রয়েছে। Menstrual Waste 2022 নামের একটি রিপোর্টে সম্প্রতি এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ হয়েছে। দিল্লির একটি এনজিও এই সমীক্ষা এবং গবেষণা করেছে। সেখানে এই এনজিও জানিয়েছে, ভারতের বাজারে উপলব্ধ স্যানিটারি ন্যাপকিনের ১০টি স্যাম্পল নিয়ে গবেষণা করে দেখা গিয়েছে সেখানে phthalates নামের একটি ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। এর সঙ্গে আবার হদিশ পাওয়া গিয়েছে volatile organic compound- এর। ছয়টি ইন-অরগ্যানিক এবং চারটি অরগ্যানিক স্যানিটারি ন্যাপকিন, যা ভারতের বাজারে উপলব্ধ- নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছিল দিল্লির এই এনজিও। 


phthalates- এর থেকে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে


জানা গিয়েছে, phthalates নামের এই রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসলে স্বাস্থ্যজনিত একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রভাব পড়তে পারে মহিলাদের হৃদযন্ত্রে। সমস্যা দেখা দিতে পারে প্রজননের ক্ষেত্রে। এছাড়াও এন্ডোক্রিনে সমস্যা হতে পারে। এর পাশাপাশি ডায়াবেটিস থাকলে phthalates নানা ধরনের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এই ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ। সেই সঙ্গে বেশ কয়েক ধরনের ক্যানসারের সম্ভাবনাও দেখা দিতে পারে এই ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের কারণে।  


volatile organic compound- এর থেকে কী কী সমস্যা হতে পারে


জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ধরনের volatile organic compound- যা এই ১০টি স্যানিটারি ন্যাপকিনের স্যাম্পলে পাওয়া গিয়েছে, সেগুলোর সংস্পর্শে আসলে মহিলাদের মস্তিষ্কের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। দুর্বল হয়ে যেতে পারে মস্তিষ্ক। এছাড়াও বাড়তে পারে অ্যাজমার সমস্যা। বিভিন্ন ধরনের অক্ষমতা দেখা দিতে পারে শরীরে। কয়েক ধরনের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। প্রজনন পদ্ধতির সঠিক কার্যকারিতা ব্যাহত হতে পারে। 


আরও পড়ুন- শীতের মরসুমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূরে রাখতে মেনুতে যোগ করুন এই খাবারগুলি