নয়াদিল্লি: সুস্থ থাকার জন্য় ডায়েটে নজর দিতে বলেন চিকিৎসকরা। কী খাওয়া হচ্ছে, কীভাবে খাওয়া হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে অনেককিছুই। জীবনযাত্রার পদ্ধতি প্রভাব ফেলে স্বাস্থ্যের উপর। স্ট্রেস, খাওয়া-দাওয়া সবকিছুরই প্রভাব রয়েছে সুস্থ থাকার পিছনে।
কোলেস্টেরল (Cholesterol), উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) মতো সমস্য়া ইদানিং অনেকেরই দেখা যায়। তা লাগামে আনার জন্য় শরীরচর্চা প্রয়োজন। তারই সঙ্গে প্রয়োজন ঠিকমতো ডায়েট। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপ লাগামে রাখতে গেলে পাতে পর্য়প্ত পরিমাণে আনাজ রাখতে হবে। কিন্তু কী কী আনাজ রাখতে হবে? কোন আনাজে সবচেয়ে বেশি উপকার? নজর রাখা যাক তাতে।
যে যে আনাজে পেকটিন বেশি পরিমাণে থাকে, তা কোলেস্টেরল লাগামে আনতে সাহায্য করে। পেকটিন আদতে কোলেস্টেরল কমাতে পারে এমন একটি ফাইবার। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখতে গেলে এমন খাবার পাতে রাখা উচিত যা ফাইবার সমৃদ্ধ, বাদ দেওয়া উচিত ফ্যাটজাতীয় খাবার।
টোম্যাটো:
পটাশিয়ামে ভরপুর টোম্যাটো। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি-এর অত্যন্ত ভাল উৎস। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট লাইসোপিন থাকে এই আনাজে। এটি এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
বেগুন:
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে কার্যকরী বেগুন। কোলেস্টেরল বেশি থাকলে প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। বেগুনের পুষ্টিকর উপাদান তা আটকাতে পারে।
ঢেঁড়স:
কমমাত্রায় ক্যালোরি রয়েছে ঢেঁড়সে। যা ফাইবার রয়েছে, তা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। প্রদাহ রুখতে পলিফেলন কার্যকরী, ঢেঁড়সে তা পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।
কুমড়ো:
ভাজা থেকে তরকারি, নানা ভাবে ব্যবহার হয় কুমড়ো। অনেকে একেবারেই পছন্দ করে না এই আনাজ। কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতে গেলে পাতে রাখতেই হবে কুমড়ো। ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে, কুমড়ো খেতেই হবে। ক্যালোরির মাত্রা অত্যন্ত কম কিন্তু উচ্চমাত্রায় ফাইবার রয়েছে কুমড়োতে। এটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর।
বিভিন্ন ধরনের শাক-সব্জি:
নিয়মিত শাকপাতা জাতীয় খাবার ডায়েটে রাখার জন্য বারবার বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। ক্ষতিকর কোলেস্টেরলে লাগাম পরাতে এর জুড়ি নেই। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ফাইবার এবং খনিজেরও জোগান দেয় শাকজাতীয় আনাজ।
আলু:
ডায়াবেটিস থাকলে বা অতিরিক্ত ওজন হলে এটি বাদ দিতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তা না হলে আলু অত্যন্ত উপকারী। প্রয়োজনীয়5 শর্করা এবং আরও কিছু কিছু খাদ্যগুণ রয়েছে আলুতে। যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: কোন গবেষণায় মিলল তথ্য? কোন ওষুধ ব্যবহারে মিটেছে সমস্যা?