কলকাতা: কোভিড শুরু হওয়ার পর থেকেই বদলে গিয়েছে জীবনযাপনের ধরন। প্রভাব পড়েছে চাকরিজীবনেও। কোভিড রুখতে ঘরেই তৈরি হয়েছে অফিস। বিশ্বজুড়ে অধিকাংশ জায়গায় শুরু হয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম (work from home)-এর চল। গত বছর দুয়েকেরও বেশি সময় ধরে এইভাবে চলছে কাজ। মাঝে মাঝে করোনার নিম্নগতির সময় সব স্বাভাবিক হলেও অনেক শিল্পক্ষেত্রেই চলছে বাড়ি থেকে কাজের সুযোগ।
অফিসে বসে কাজের অভ্যাস সকলেরই রয়েছে। অফিসের পরিবেশে কাজের সুবিধেও অনেক। কিন্তু কোভিডের জন্য বাড়ি থেকে কাজের জন্য অভ্যস্ত হতে হয়েছে সবাইকেই। বাড়িতে সহজেই কাজে মনোযোগ বসানোর জন্য বেশ কিছু দিকে নজর দেওয়া যায়। অল্প খরচেই সাজিয়ে নেওয়া যায় কাজের জায়গা। ঘরের অন্দরসজ্জার একটু অদল-বদল করলেই একেবারে পাল্টে যায় ঘরের ছবিটা। চেনা ঘরের কোণে একটু অচেনা পরিবেশ আনতে জুড়ি নেই এই পদ্ধতির। কী কী করা যায়?
ঘরের কোণে অন্য রং
ঘরের চেহারা বদলানোর জন্য সবচেয়ে আগে ঘরের দেওয়ালের রং বদলানো যায়। অথবা ইচ্ছে হলে পছন্দসই ওয়ালপেপার লাগানো যাবে দেওয়ালে। শুধুমাত্র কাজের জায়গায় দেওয়ালের অংশটায় পছন্দমতো রং করতে পারেন।
ছিমছাম সাজ
খুব ভারী কিছু দিয়ে কাজের জায়গা বা work station সাজানো উচিত নয়। যতটা সম্ভব কম জিনিস রাখা যায়। ল্যাপটপের পাশে শুধু ফুল রাখতে পারেন। সামনের দেওয়ালে হালকা রং লাগাতে পারেন। প্রয়োজনে সামান্য কিছু ওয়ার্ক স্টেশনারি। খুব বেশি জিনিস রাখলে কাজ করতেও সমস্যা হয়।
আলো আসুক আরও
বাড়িতে যেখানে সবচেয়ে বেশি আলো আসে, সেখানে ওয়ার্ক স্টেশন তৈরি করা ভাল। তাতে বৈদ্যুতিক আলোর উপর নির্ভর করতে হয় না। কাজ করতেও ভাল লাগে। রৌদ্রজ্জ্বল জায়গায় বসে কাজ করলে মানসিক ভাবেও চাঙ্গা থাকা যায়।
সবুজের ছোঁয়া
গাছ মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। ওয়ার্ক স্টেশনের আশেপাশে গাছ রাখতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের ইনডোর প্ল্যান্ট (houseplants) পাওয়া যায়। জায়গা বুঝে বেছে নিতে পারেন সেই গাছ। টেবিলের পাশে এককোণায় ছোট্ট সাকুলেন্ট হোক বা ঘরের এককোণে স্নেক প্ল্যান্ট, কাজের পরিবেশ ভাল রাখতে জুড়ি মেলা ভার।
সময়ের আন্দাজ
হাতে ঘড়ি থাকুক, ল্যাপটপে ঘড়ি দেখা যাক। তবুও সম্ভব হবে একটা ছোট্ট টেবিল ঘড়ি রাখতে পারেন ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের ঠিক পাশে। সময় ধরে কাজ করা সম্ভব হবে। প্রয়োজনে মাঝে মাঝে উঠে একটু হাত-পা ছড়িয়েও নেওয়া যায়।
আরও পড়ুন: হোলি খেলার পর নখ থেকে জেদি রং উঠছে না? জানুন সহজ পদ্ধতি