কলকাতা: ঘুমের সময় শ্বাস-প্রশ্বাস সঠিক পদ্ধতিতে না হলে নাক ডাকার সমস্যা (Snoring) দেখা দিতে পারে। এটা আপাত দৃষ্টিতে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা মনে হলেও, শারীরিক বেশ কিছু অসুস্থতাও লুকিয়ে রয়েছে এতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও নাক ডাকার সমস্যায় আশেপাশের মানুষের মধ্যেও বিরক্তি উৎপাদন হয়। 


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নাক ডাকার সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করা প্রয়োজন। কারণ, হতে পারে সেই ব্যক্তি ওবেসিটি, নাক, কান, গলার সমস্যা, ঘুমের সমস্যা কিংবা শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যায় ভুগছেন। নাক ডাকার সমস্যাকে বহু মানুষ স্বাভাবিক ঘটনা বলে এড়িয়ে গেলেও সঠিক সময় চিকিৎসা না করলে অনেকক্ষেত্রে অনেক অসুখ মাথাচাড়া দিতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।


আরও পড়ুন - K-pop Diet : চর্চায় কোরিয়ান কে-পপ ডায়েট, ওজন কমানোর কী এই নয়া পদ্ধতি?


নাক ডাকার সমস্যা দূর করার ঘরোয়া টোটকা-
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেকক্ষেত্রে শোওয়ার কায়দা সঠিক না হওয়ার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটে। তাই শোওয়ার কায়দার দিকে নজর রাখা প্রয়োজন।


২. একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ঘুম সঠিক না হলেও নাক ডাকার সমস্যা দেখা দিতে পারে।


৩. নাক ডাকার সমস্যা দূর করার ঘরোয়া টোটকা হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওই ব্যক্তির বালিশ সামান্য উঁচু করে দিলে এই সমস্যা মিটতে পারে।


৪. মদ্যপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ঘুতে যাওয়ার আগে মদ্যপানের অভ্যাস নাক ডাকার সমস্যা তৈরি করতে পারে।


৫. মদ্যপানের মতো ধূমপানও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অত্যধিক ধূমপান নাক ডাকার সমস্যা তৈরি করে।


৬. অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির ফলে ওবেসিটি দেখা দেয়। নাক ডাকার সমস্যা ওবেসিটিরও লক্ষণ বটে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।