কলকাতা: বাড়িতে বয়স্ক ব্যক্তিরা থাকলে তাঁদের নিয়ে চিন্তা সারাক্ষণই লেগে থাকে। খুদে সদস্যদের মতোই বয়স্ক সদস্যদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা থাকে। এই চিন্তা বাড়ে শীতকাল আসলেই। শীতকালের (Winter) ঠান্ডা আবহাওয়ায় বয়স্ক ব্যক্তিদের নানা সমস্যা দেখা দেয়। কীভাবে এই সময়ে ওঁদের সুস্থ রাখবেন, সে সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


শীতকালে বয়স্কদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেবেন যেভাবে-


১. এই সময়ে অবশ্যই গমর পোশাক পরা দরকার। সারা শরীর ঢেকে রাখতে হবে গরম পোশাকে। প্রয়োজনে গ্লাভস, মোজা, মাফলার থেকে টুপি সবই পরে শরীর গরম রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বয়স্ক ব্যক্তিদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই ওঁদের অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। এই পরিস্থিতিতে ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা করা জরুরি।


২. শারীরিক ভাবে সক্ষম রাখতে হবে। সারাদিন ঘরের মধ্যে বসে থাকলে চলবে না। এতে শরীর বেশি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। শীতকালে বয়স্ক ব্যক্তিদের যোগাভ্যাস থেকে শরীরচর্চার মধ্যে রাখা দরকার। অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সচল থাকলে তবেই সুস্থ থাকবে শরীর।


আরও পড়ুন - Travelling Health Benefits: বেড়াতে যেতে পছন্দ করেন? রইল এর উপকারিতাগুলো


৩. অনেকেরই ঠান্ডা জলে স্নান করার অভ্যাস থাকে। কিন্তু বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান করা সঠিক নয়। হালকা গরম জলে স্নান করাতে হবে।


৪. সারাদিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া দরকার। তবেই রোদ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরে জলের মাত্রাও বজায় থাকে। ত্বক ও চুলের নানা অসুখও দূরে থাকে এর ফলে। 


৫. নজর দিতে হবে খাদ্যাভ্যাসেও। মশলাদার খাবার নয়। এই সময়ে হালকা খাবার খেতে হবে।


অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শীতকালে গলায় ব্যথা হলে হালকা গরম জলে নুন, হলুদ, ত্রিফলা গুঁড়ো দিয়ে গার্গল করুন। তাহলে উপকার পাওয়া যায়। গলার ব্যথা দূর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আওয়াজও ফিরে আসে।গলার ব্যথা কিংবা বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে হলুদ দুধের জুড়ি মেলা ভার। স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী হলুদ দুধ নিয়মিত রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এতে স্বাস্থ্যের খুবই উন্নতি হয়। এছাড়া গলায় যদি খুব ব্যথা হয় কিংবা গলা বসে যায়, তাহলে এক গ্লাস গরম দুধে দু চিমটে হলুদ দিয়ে তা রাতে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গলার ব্যথা সারার পাশাপাশি বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। যদিও যদি খুব বেশি সমস্যা হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।