নয়াদিল্লি: বর্ষা (monsoon) এসে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ভারী বর্ষণও শুরু হয়ে গিয়েছে। সূর্যের প্রখর তেজ থেকে সাময়িক স্বস্তি। কিন্তু বেশি বৃষ্টির সঙ্গে একে একে আসে একাধিক সমস্যাও। যেমন ফাঙ্গাল (fungal infection) ও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন (bacterial infection) ত্বক ও নখে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। তবে চিন্তা নেই! বর্ষায় নখের যত্ন (tips to take care of nails) কীভাবে নেবেন? রইল টিপস।


নখ ছোট করে কেটে ফেলুন


যদি বর্ষায় অবাঞ্ছিত ইনফেকশন ডেকে আনতে না চান তাহলে নিয়মিত নখ ট্রিম করতে ভুলবেন না। ভাল মানের ক্লিপার ব্যবহার করবেন। ক্রোমের স্তর পরানো নেলকাটার এড়িয়ে চলাই ভাল, তাতে মরচে পড়তে শুরু করে। এর থেকে ইনফেকশন বাড়তে থাকে। এবারের বর্ষায় না হয় নখ ছোটই রাখলেন। 


পায়ের নখ রাখুন শুকনো


বর্ষার রাস্তায় জমা জলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পায়ের নখ, বিশেষত বুড়ো আঙুলের নখ। এতে সেগুলি ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। জমা জলের নোংরা থেকে নখের চারিদিকে মৃতকোষ তৈরি হয়। কী ধরণের জুতো পরছেন এক্ষেত্রে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধ চামড়ার জুতো না পরে, ব্যবহার করুন খোলা বা স্যান্ডাল জাতীয় জুতো। বাড়ি ফিরে জুতো খুলে আগে পা ও নখ শুকিয়ে নিন। বর্ষায় অ্যান্টি ফাঙ্গাল হওয়া সবচেয়ে জরুরি। এই ধরনের ক্রিম ব্যবহার করুন, এবং ইমফেকশন এড়াতে দিনে অন্তত একবার তা ব্যবহার করুন পায়ের নখ ও আঙুলে। 


যত্ন নিয়ে নেলপলিশ ব্যবহার করুন


বেশিরভাগ মহিলারাই নেলপেন্ট বা নেলপলিশ ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। বর্ষায় নেলপলিশে কোনও সমস্যা নেই এমনিতে, কেবল খেয়াল রাখবেন তা যেন রাসায়নিক মুক্ত এবং পরিবেশ বান্ধব হয়। যখন নেলপলিশ রিমুভারও কিনছেন, সেগুলিও ভিটামিন এ, সি ও ই সমেত কেনার চেষ্টা করুন, তাতে নখের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। 


গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন


বর্ষায় উষ্ণ গরম জলে হাত ধুলে নখ অনেকটা নরম ও মসৃণ থাকে। এটি জীবাণু ধ্বংস করতেও সাহায্য করে। 'নেল পিক' নামক ছুঁচলো যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন, যা দিয়ে নখের চারিদিকে লুকিয়ে থাকা নোংরা ময়লাও বের করে ফেলতে পারেন। 


আরও পড়ুন: Indian Sweets: বিশ্বসেরা 'স্ট্রিট ফুড' মিষ্টির তালিকায় স্থান পেল ভারতীয় 'মাইসোর পাক', 'কুলফি', রইল পুরো তালিকা


স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা


সবশেষে যেটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, তা হল স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। শুধু বর্ষাতেই নয়, স্বাস্থ্যকর খাবার সারা বছরই প্রযোজ্য। বর্ষায় ভিটামিন ই, ওমেগা ৩-এর মতো উপাদান নিজের ডায়েটে বেশি রাখা প্রয়োজন। এছাড়া পরিমাণ মতো প্রোটিন খাওয়াও প্রয়োজন।