কলকাতা : স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন। সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি এবং প্রোটিনজাতীয় খাবারও থাকছে রোজকার খাবারের তালিকায়। তারপরও শরীরে যেন এনার্জি পাচ্ছেন না। সারাদিন ক্লান্ত লাগছে। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরও বহু মানুষের ক্ষেত্রেই এমনটা দেখা দিতে পারে। এর পিছনে আপনারই লাইফস্টাইল দায়ী। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর খাবারও অনেকসময় অস্বাস্থ্যকর হয়ে যেতে পারে। যা আপনার শরীরের সমস্ত এনার্জিকে নষ্ট করে দিচ্ছে। কী কারণ রয়েছে এর পিছনে?


১. পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, যদি আপনি অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান, তাহলে পুষ্টিকর খাবার খেলেও বাড়তি ক্যালোরি জাতীয় খাবারও বর্জন করতে হবে। তাঁরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ওজন কমানোর সঙ্গে সঙ্গে খাবারের তালিকায় এমন কিছু রাখুন, যা সারাদিন আপনার শরীরকে এনার্জিতে ভরপুর রাখবে। যদি আপনার শরীরের মেটাবলিজম কমে যায়, তাহলে সারাদিন আপনার মধ্যে ক্লান্তি থাকবে। ওজনও বাড়বে না আবার এনার্জিতেও ভরপুর থাকবে শরীর এমন খাবার তালিকায় রাখা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, দিনের শুরুটা করুন লিন প্রোটিন দিয়ে। তার সঙ্গে অর্ধেক কাপ শস্যদানা জাতীয় খাবার রাখতে পারেন।


২. অনেকক্ষণ যদি না খেয়ে থাকেন, তাহলে ক্লান্তিভাব দেখা দিতে পারে। লাঞ্চ বা ডিনারের ঘণ্টা দুয়েক পর থেকেই যদি ক্লান্তি আসে, তাহলে এই মাঝের সময়টায় প্রোটিনজাতীয় স্ন্যাকস খেতে পারেন। সেটা হতে পারে টাটকা ফল কিংবা একমুঠো বাদাম। ফল বা বাদাম শরীরের জন্যও যেমন উপকারী, তেমন এনার্জি বাড়াতে বা ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে।


৩. অত্যধিক পরিমাণে শর্করা জাতীয় খাবার খেলে ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। একবারে অনেকটা স্বাস্থ্যকর শর্করা জাতীয় খাবার যেমন, ব্রাউন রাইস, মিষ্টি আলু কিংবা হোল গ্রেন পাস্তা খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলেও ক্লান্তি দেখা দেয়। 


৪. অতিরিক্ত ওজন কমাতে গিয়ে সারাদিন শরীরচর্চা করে চলেছেন। আপনার এনার্জি কমে ক্লান্তি আসা খুবই স্বাভাবিক। তাই ট্রেনারদের পরামর্শ মতো শরীরচর্চা করুন। এবং তার সঙ্গে নিয়মমতো খাবার খাওয়াও জরুরি। প্রয়োজনে পরামর্শ করে নিন চিকিৎসকদের সঙ্গে।