কলকাতা: আমাদের চারপাশে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে অজস্র ভাইরাস, ব্যকটেরিয়া ও জীবাণু। অর্থাৎ গোটাটাই রোগের বাসা। তার পরও আমরা সহজে অসুস্থ হই না। সবসময় অসুস্থ থাকি না। তার বড় কারণ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের প্রাথমিক ঢাল। এটি পরিবেশের বিভিন্ন ক্ষতিকর জিনিস থেকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে।
শীত পড়লেই আবহাওয়া ঠাণ্ডা হতে থাকে। এই সময় ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াসহ অন্যান্য জীবাণুর সক্রিয়তা বেড়ে যায়। তাই সুস্থ থাকতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্ভর করে আমাদের রোজকার কাজকর্ম ও খাওয়াদাওয়ার উপর। একটি স্বাস্থ্যকর রুটিন মেনে চললেই শরীরের অনাক্রম্যতা জোরদার হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কোন ধরনের খাবার ?
- ফল ও সবজি: ফল ও সবজি খনিজ পদার্থ ও ভিটামিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এগুলি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রাথমিক উপাদান। তাই এগুলি পাতে রাখতেই হবে।
- লিন প্রোটিন: লিন প্রোটিন যেমন বিনস, ডালজাতীয় খাবার আমাদের অনাক্রম্যতা বাড়ায়।
- হোল গ্রেন: হোল গ্রেন জাতীয় খাবার বেশি করে খান। এতে একদিকে ফাইবার রয়েছে, অন্যদিকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই দুই উপাদান মেটাবলিজম ঠিক রাখে। পাশাপাশি বেশ কিছু রোগকে ঠেকায়।
কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন ?
- স্যাচুরেটেড ফ্যাট জাতীয় খাবার: এছাড়াও, পাত থেকে বাদ দিতে হবে কিছু নির্দিষ্ট খাবার। স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে এমন খাবার খাওয়া যাবে না। এতে হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ে। অনাক্রম্যতাও কমে।
- অ্যাডেড সুগার জাতীয় খাবার: বর্তমানে বাজারজাত নানা খাবারে অ্যাডেড সুগার থাকে। কোল্ড ড্রিঙ্কস, কেকজাতীয় খাবারে এটি থাকে। এই ধরনের খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই এগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল।
- কোলেস্টেরল জাতীয় খাবার: কোলেস্টেরল রয়েছে এমন খাবার যেমন রেড মিট এড়িয়ে যেতে হবে। এমন খাবার কার্ডিয়োভাসকুলার রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।
রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে আর কী না করলেই নয় ?
- শারীরিক সক্রিয়তা: শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা জরুরি। এর জন্য নিয়মিত ৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন। অথবা হাঁটাহাঁটা, জগিংও করতে পারেন। শারীরিক সক্রিয়তা কমে গেলে ক্রনিক রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
- পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম দরকার। ঘুম কম হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। এর ফলে রোগে ভোগার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এর জন্য বেসাল মেটাবলিক ইন্ডেক্স (BMI) ৩০-এর নিচে রাখতে হবে। এর বেশি ওজন হলে তা অতিরিক্ত ওজনের লক্ষণ।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Kiwi Fruit Benefits: মনখারাপ, অবসাদে ভুগছেন ? মাত্র ৪ দিনে ফুরফুরে হবেন ! খেতে হবে এই ফলটা