কলকাতা: মনমেজাজ খারাপ ? কোনও কাজই সেভাবে করতে ইচ্ছে করছে না ? এই অবস্থা তুড়িতে বদলে যেতে পারে। বদলে দিতে পারে একটি ছোট্ট ফল কিউয়ি। সম্প্রতি একটি সমীক্ষার পর গবেষকরা এমনটাই দাবি করেছেন। মাত্র চার দিনে এই মন খারাপ দূর হবে। পাশাপাশি এই ফল খেলে নাকি মনমেজাজ ভাল হওয়া ছাড়াও কাজ করার ইচ্ছে ফিরে আসবে। 


কী বলছেন গবেষক ?


নিউজিল্যান্ডের ওটাগো ইউনিভার্সিটি মনোবিদ্যার অধ্যাপক ট্যামলিন কোনার সংবাদমাধ্যম আইএএনএস-কে জানান, রোজ পাতে একটি কিউয়ি রাখলেই মনমেজাজ তুড়িতে ভাল হয়ে যাবে। কিউয়ি ফল ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ। অধ্যাপকের কথায়, এটি আদতে ভিটামিন সি-এর গুণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাদের মধ্যে ভিটামিন সি-এর অভাব তাদের মেজাজ খারাপ, মানসিক অবসাদ দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে ভিটামিন সি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে গেলে মন ভাল থাকছে। অনেকেই দ্রুত অবসাদ কাটিয়ে উঠছেন!


ভিটামিন সি-এর জয়জয়কার !


আট সপ্তাহ ধরে ১৫৫ জন প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে এই পরীক্ষা হয়। তাদের এই ফলটি খেতে বলা হয়। কেউ কিউয়ি খান, কেউ আবার ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট বেছে নেন। তার পর তাদের রোজকার একটি রেকর্ড রাখতে বলা হয়। 


ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশনে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বিজ্ঞানীদের দাবি, চার দিন পর থেকেই অনেকের মনমেজাজ ভাল হতে শুরু করেছে। ১৪ দিনের মাথায় অধিকাংশই ব্যক্তিরা ফুরফুরে বোধ করছেন। পুরো উদ্যমে কাজও শুরু করেছেন।


মুখ্য গবেষক বেন ফ্লেচারের কথায়, ভিটামিন সি-এর সঙ্গে মানসিক অবস্থার কেমন সম্পর্ক তা দেখতেই এই গবেষণা করা হয়। তাতে কিউয়ি ফলের জয়জয়কার হল। বিজ্ঞানীদের কথায়, আমাদের মানসিক অবস্থা অনেকটাই খাবারের পুষ্টিগুণের উপর নির্ভর করে। তবে শুধু কিউয়িই খেতে হবে, এমন কোনও কথা নেই। গবেষক জানান, রোজ পাতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রাখলে মনমেজাজ ফুরফুরে থাকে। পাশাপাশি একটা ভিটামিনের বদলে সবরকম পুষ্টিগুণই দরকারি বলে জানান তিনি।


কিউয়ি ফলের আর কী গুণ ?



  • পেটের হাল ভাল রাখে এই ফলের পু্ষ্টিগুণ।

  • প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

  • ভিটামিন ই-এর সমৃদ্ধ উৎস কিউয়ি।

  • ভিটামিন কে-তেও ভরপুর এটি। ফলে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

  • পটাশিয়ামে ভরপুর এই ফল।

  • ফাইবারে ভরপুর বলে এটি খাবার হজম করায়।

  • রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এর ফাইবার।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Viral News: হঠাৎ অজ্ঞান বিদেশিকে সিপিআর দিয়ে বাঁচালেন CISF জওয়ান! কীভাবে করতে হয় এটি