কলকাতা: প্রযুক্তি এখন সবজায়গাতেই ছড়িয়ে পড়েছে। আর তার হাত এড়িয়ে প্রায় কোনও কাজ করা যায় না। একই অবস্থায় শিশুরাও। তাদেরও এখন একমাত্র বন্ধু টেকনোলজি। কখনও সেটি মোবাইল ফোনের আকারে, কখনও বা ট্যাব বা স্মার্ট টিভির আকারে। আর এর ফলে একটি বড় জগতের খোঁজ পাচ্ছে তারা। যে জগতের থেকে বেশ কিছু সমস্যা প্রবেশ করছে তাদের জীবনে।


একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শিশুমনের উপর প্রভাব ফেলছে প্রযুক্তি। ফোন ও ট্যাবের নেশা ডেকে আনছে একের পর এক বড় বিপদ। ঠিক কোন কোন মানসিক সমস্যার শিকার হচ্ছে শিশু থেকে কিশোররা? 


শিশু ও কিশোরমনে প্রযুক্তির প্রভাব 



  • কম ঘুম -  বয়স এখন আঠারো ছোঁয়নি। অথচ এই অবস্থাতেই খুদের ঘুম কমে গিয়েছে। বেশিক্ষণ ঘুম পায় না তার। ঘুমায়ও না। এতে ভাল কিছু নেই। কারণ নির্দিষ্ট সময় না ঘুমোলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কাও বেশি। তবে কম ঘুমের কারণ লুকিয়ে রয়েছে মোবাইল ফোনেই। মোবাইল ফোন থেকে ব্লু লাইট নির্গত হয়। এই লাইটটি চোখের মধ্যে দিয়ে স্নায়ুকে প্রভাবিত করে। যার ফলে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। এই হরমোনের ঘুমের জন্য বিশেষ করে জরুরি। 

  • বুলির শিকার - ২০২১ সালের একটি গবেষণা জানাচ্ছে বুলিং-এর কথা। স্কুলে বা কোচিং সেন্টারের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া এখন নতুন একটি মাধ্যম। সেখানে প্রায়ই বুলিং-এর শিকার হচ্ছে তারা।

  • অবসাদ - প্রায়ই মনমরা থাকে খুদে। কাজকর্ম ঠিকমতো করতে চায় না। কিছু করতে বললেই খিটখিট করে ওঠে। অবসাদের এই লক্ষণগুলির পিছনেও রয়েছে মোবাইল ফোন। মোবাইল ২০১৯ সালের একটি গবেষণা বলছে কিশোরকিশোরীদের তিনজনের মধ্যে একজন এই সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা আমেরিকায় ১০ বছর ৪০ শতাংশ বেড়েছে। 

  • দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ - সমাজ মাধ্য়মের ব্যবহার এর জন্য মূলত দায়ী। ঘন ঘন সোশাল মিডিয়া দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয়। কমন সেন্স মিডিয়ার একটি সমীক্ষা বলছে, কমবেশি অর্ধেক সংখ্যক কিশোরকিশোরী এই সমস্যায় ভোগেন।

  • নিজেকে নিয়ে হীনম্মন্যতা - নিজের চেহারা নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভোগে অনেক খুদে কিশোরী। এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার পিছনে সোশ্যাল মিডিয়ার বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Health News: হার্টের রোগের বড় কারণ কি জিন ?