নয়াদিল্লি: খুশি থাকা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত অধিকার। বিভিন্ন কারণে খুশি হতে পারেন কেউ। বিভিন্ন ব্যক্তিদের খুশি হওয়ার কারণও বিভিন্ন হতে পারে। পছন্দের খাবার  হোক বা ইচ্ছেমতো কেনাকাটা। পছন্দের কারও সঙ্গ হোক বা কোনও জায়গায় ঘুরতে যাওয়া---বিভিন্ন কারণে খুশি অনুভব করে থাকেন এক একজন। মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে, শরীর রোগমুক্ত রাখতে হাসিখুশি থাকতে বলেন ডাক্তার ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।


এই হাসিখুশি থাকার জন্যই বাছাই করে নেওয়া হয়েছে একটি বিশেষ দিন। ২০ মার্চ পালিত হয় আন্তর্জাতিক সুখ দিবস (International Day of happiness)। ২০১২ সালের জুলাই মাসে ইউনাইটেড নেশনসে প্রথম রেজোলিউশন পাস হয়। ভুটানের উদ্যোগেই এই কাজটি হয়েছিল। ২০১৩ সাল থেকে দিনটি পালন করে ইউনাইটেড নেশন। 


কোথা থেকে শুরু
এই দিনটি উদযাপনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভুটানের (bhutan) নাম। জাতীয় আয়ের তুলনায় জাতীয় খুশির (national happiness) মাত্রাতে বেশি গুরুত্ব দেয় ভুটান। ১৯৭০ সাল থেকেই শুরু হয় এই পদক্ষেপ। দেশের ৬৬তম সাধারণ সভায় gross national happiness-কে গ্রাহ্য করে ভুটান। খুশি থাকা এবং ভাল থাকা নিয়ে সেদেশে রীতিমত সরকারিস্তরে আলোচনাও হয়ে থাকে। পরে ইউনাইটেড নেশনসে (united nations) এই বিষয়ে রেজোনিউশন (resolution) আনার প্রস্তাব দেয় ভুটান।


এই দিনটিতে আনন্দের গুরুত্ব নিয়ে সচেতনতা প্রচার করা হয়। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হাসিখুশি থাকা। খুশি থাকা কোনও ব্যক্তির উৎপাদনশীলতাও বেশি হয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। 


নানা বছর নানা থিম
২০২২ সালে ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ হ্যাপিনেসের থিম keep calm, stay wise, be kind. মাথা ঠান্ডা রাখা এবং মন শান্ত রাখা যেকোনও সময় আনন্দে থাকার চাবিকাঠি। এই বিষয়টিই প্রচার হবে এই বছর। প্রতি বছরই এই বিশেষ দিনটির জন্য আলাদা আলাদা থিম (theme) বেছে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ওয়ার্ক ফ্রম হোমে ঘরের কোণের মেকওভার