কলকাতা: কাজ করতে করতে নিচু স্বরে বিড়বিড় করে যাচ্ছেন। কাউকে খারাপ কথা বলছেন তা নয়। হাতে যা করছেন, তা-ই মুখে বলছেন। আবার খারাপ কথা যে কেউ বলেন না, তাও নয়। সেই সময় মনে যা চলছে, মুখে তা বলতে থাকেন। তাতে কখনও সমালোচনা থাকে। আবার কখনও প্রশংসা। কারও শোনার জন্য নয়। অনেকে নিজের মনে মনেই এভাবে কথা বলতে অভ্যস্ত। এই অভ্যাসের জন্য কখনও কখনও পাশে কেউ থাকলে বিরক্ত হন‌। কিন্তু এটা কি আদৌ কোনও সমস্যা? নাকি ভালো লক্ষণ ?


নিজের মনে কথা (Self Talk) বলা ভাল ?


বিশেষজ্ঞদের কথায়, এতে কোনও সমস্যা নেই। বরং নিজের মনে কথা বলার বেশ কিছু সুফল রয়েছে। তবে এর সঙ্গে লক্ষ রাখতে হবে কয়েকটি জিনিস। কথা বলতে গিয়ে কোনও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কি না। চাইলে নিজেকে সামলাতে পারছেন কি না। অর্থাৎ লোকের মাঝেও কথা বলে ফেলছেন কি না ‌। কথা বলার সময় চোখের সামনে কোনও কিছু দেখছেন কি না। যাকে মনোবিদ্যায় হ্যালুসিনেশন বলা হয়। 


নিজের মনে কথা বলার সুফল 



  • দুশ্চিন্তা কমে - নিজের মনে কথা বলার বেশ কিছু সুফল রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল দুশ্চিন্তা কমে। অনেকেই অ্যাংজাইটির সমস্যায় ভোগেন।‌ এর থেকে রেহাই দিতে পারে সেলফ টক বা নিজের মনে কথা বলা।‌

  • ভাবনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় - মন আগডুম বাগডুম অনেক কিছুই ভেবে চলেছে। এমন প্রবণতা থাকলে কাজে ভুল হতে পারে। এমনকি নিজের কাজ সম্পর্কে অনেকের খেয়ালও থাকে না। নিজের মনে কাজ নিয়ে কথা বললে সেই ভাবনাকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 

  • আবেগ প্রকাশ - মনে জমে থাকা আবেগ প্রকাশ করতে না পারলে নানারকম সমস্যার কারণ হতে পারে। স্ট্রেস তৈরি হতে পারে। সেলফ টক বা নিজের মনে কথা বললে এই সমস্যা কমে।


কখন সতর্ক হবেন ?



  • সেলফ টক যদি রোজকার কাজ ছোটখাটো ক্ষতি করতে থাকে, তবে সতর্ক হতে হবে। 

  • কথা বলার সময় চোখের সামনে কোনওকিছু দেখতে পাচ্ছেন কি না লক্ষ রাখুন। অর্থাৎ হ্যালুসিনেশন হচ্ছে কি না।‌ এটি মানসিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। 

  • নিজেকে সামলাতে পারছেন না। যেখানে সেখানে সেলফ টক করছেন। এমন পরিস্থিতি হলে সতর্ক হওয়া জরুরি।


আরও পড়ুন - Covid Vaccines: কোভিড টিকাতেই বাড়ছে ব্রেন, হার্টের রোগ ? কী জানাল WHO-এর সমীক্ষা