কলকাতা: শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যও সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইল জরুরি। বিশেষজ্ঞরা জানান, শিশু বয়স থেকে খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইলে নজর দিলে মানসিক স্বাস্থ্য বজায় থাকে। অনেক সময়ই অভিভাবকেরা বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ চান যে, কীভাবে সন্তানের স্মৃতিশক্তি আরও প্রখর করবেন। কীভাবেই বা পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হবে সন্তান। শিশুদের স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে রোজকার তালিকায় বেশ কিছু খাবার রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যা শরীরকে তো সুস্থ রাখবেই। তার সঙ্গে স্মৃতিশক্তি (Memory) উন্নত করবে এবং মানসিক স্বাস্থ্যও (Mental Health) বজায় রাখবে।


শিশুদের স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে রোজকার তালিকায় যে খাবারগুলো রাখা দরকার-


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুরা সবুজ শাক সব্জি খেতে একেবারেই পছন্দ করে না। কম-বেশি প্রত্যেক বাড়িতেই শিশুদের সব্জি খাওয়ানোর জন্য কার্যত লড়াই করতে হয় অভিভাবকদের। পুষ্টিবিদদের মতে, শিশুদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অবশ্যই রাখা প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক শব্জি। পালং শাক, মেথি শাক, ধনেপাতা, সরষে শাক, বিটের পাতা প্রভৃতি খাওয়ানোর দরকার ওদের। এতে থাকা উপকারী উপাদান মানসিক স্বাস্থ্য বজায়ের সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে সাহায্য করে।


২. প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে ডিম এবং মাছে। শিশুদের বেড়ে ওঠার দিনগুলোয় এগুলো খাওয়ানো খুবই জরুরি। এতে থাকা উপকারী ফ্যাট এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুদের মস্তিষ্ক সচল রাখতে দারুণ উপকারী। এছাড়াও ওদের খাবারের তালিকায় ডিমের কুসুম রাখার পরামর্শ তাঁদের। 


আরও পড়ুন - Health Tips: স্মার্টফোন ব্যবহারের উপকারিতাগুলো জানেন কি?


৩. ব্রেকফাস্টে কিংবা সন্ধ্যের জলখাবারে প্রায়শই আমরা ওটমিল খেয়ে থাকে। তবে, ওটমিল শুধুই ওজন কমানোর জন্য উপকারী নয়। শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এনার্জি বৃদ্ধিতে এটি অত্যন্ত সাহায্য করে। 


৪. শিশুদের স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে বেরির জুড়ি মেলা ভার। ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, রেড চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ফাইবার, ভিটামিন সি এবং আরও অনেক উপকারী উপাদান। 


৫. স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য বাদাম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খাবার। বাচ্চাদের চোখের খিদে পেতে থাকে নানা সময়ই। সেই সময় মুখরোচক কোনও খাবার না খাইয়ে ওদের দিতে পারেন একমুঠো বাদাম। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।