কলকাতা: আর একদিন পরেই ভ্যালেনটাইনস ডে। বাঙালির লব্জে প্রেম দিবস। তবে এর আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রেমের আবহ। নেপথ্যে ভ্যালেনটাইনস উইক। ১৩ ফেব্রুয়ারি সেই সপ্তাহের শেষ দিন। প্রমিস, প্রপোজ, টেডি, হাগ পেরিয়ে শেষ দিন চলে আসে ভ্যালেনটাইন উইকের। আর ওই দিনটির নাম কিস ডে। 


কিস ডে-এর গুরুত্ব (Kiss Day importance)


কিস ডে-এর উদযাপন নেহাতই আধুনিক রীতি। অনেকেই এমনটা বলবেন। কিন্তু প্রেমের বন্ধনে চুম্বনের উদযাপন আবহমান কাল ধরেই। যেমন ধরা যাক, রবীন্দ্রনাথের চুম্বন কবিতাটার কথা। সেখানেও বলা হচ্ছে - ‘অধরের কানে যেন অধরের ভাষা/দোঁহার হৃদয় যেন দোঁহে পান করে।’ হৃদয় যেন উঠে আসে ঠোঁটে। চুম্বনের মাহাত্ম্য ঠিক এতটাই। আর সেই মাহাত্ম্যেরই ইঙ্গিতময় ভাষ্য ওই কবিতা। শুধু যে প্রেমেই চুম্বন হয়, তা তো নয়। প্রতিটি ভরসা ও সুরক্ষিত সম্পর্কের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে চুম্বন। শৈশব থেকে এমন নানা চুম্বনের আদর বড় করে তোলে আমাদের। তবে ভ্যালেনটাইনস ডে-এর আগে এই দিনটি অলিখিতভাবে একটি বিশেষ সম্পর্কের জন্য নির্দিষ্ট।


কিস ডে-এর ইতিহাস (Kiss Day History)


কিস ডে-কে অনেকেই হাল আমলের ট্রেন্ড বলে মনে করেন। ঠিক কবে থেকে এই ট্রেন্ডের শুরু, তার কোনও প্রামাণ্য নথি নেই। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, এই দিনটি বিশ শতকের গোড়া থেকে জনপ্রিয় হতে শুরু করে। চুম্বনের জনপ্রিয়তা অনেক আগে থেকেই ছিল। কিন্তু চুম্বনকে ঘিরে একটি দিনের উপস্থিতি ছিল না সেভাবে। সেই দিনটির জন্ম হয় বিশ শতকে। তখন থেকে এই বিশেষ অনুভূতিকে আলাদাভাবে গুরুত্ব জানানো শুরু হয়। 


চুম্বনের ধরনেই বাঁধা পড়ে হৃদয় !


চুম্বনের দিন হলেও এর প্রকাভেদ রয়েছে। চুম্বনের ধরনই বলে দেয় সম্পর্কের গভীরতা। এমনকি চুম্বনের ধরন অনুযায়ী বোঝা যায়, সম্পর্কের ধরনও। চুম্বনের কোনও লিখিত ধরন নেই। তবে প্রচলিত রীতি রয়েছে।



  • যেমন ধরা যাক ফ্রেঞ্চ কিসের কথা। প্রেমের গাঢ় বন্ধনকেই প্রকাশ করে এই বিশেষ চুম্বন। অধরের সঙ্গে অধরের অঙ্গাঙ্গি কথোপকথন ফ্রেঞ্চ কিস।

  • আবার কপালের চুম্বন অন্য অর্থের ইঙ্গিত। সম্পর্কের সুরক্ষা ও ভরসার সংকেত এই বিশেষ চুম্বন। প্রেমের বাইরেও এই চুম্বন অভিভাবকদের কাছ থেকে সন্তানরা পেয়ে থাকে।


আরও পড়ুন - Hug Day 2024: আলিঙ্গন হয় নানারকম ! কোনটার জন্য বিখ্যাত ‘হাগ ডে’ ?