কলকাতা: মধুমেহ (Diabets) রোগীদের অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। তাঁরা আর পাঁচজন ব্যক্তির মতো খাদ্যাভ্যাসে চলতে পারেন না বা তাঁদের মতো লাইফস্টাইলেও চলতে পারেন না। কারণ, মধুমেহ এমনই একটি অসুখ, যা একবার শরীরে বাসা বাঁধলে চিরস্থায়ী হয়ে যায়। তবে, চিকিতসকের পরামর্শ মেনে চললে এবং নিয়ম মেনে চললে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যাঁদের টাইপ টু ডায়াবিটিস (Type 2 Diabetes) রয়েছে, তাঁদের অবশ্যই মিষ্টি খাওয়া বা চিনি খাওয়ায় লাগাম টানা দরকার। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, মধুমেহ রয়েছে, অথচ সেই ব্যক্তি খাবারে মিষ্টি চিনি ব্যবহার না করে খেতে পারছেন না। আর এতে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্যে। এমন পরিস্থিতিতে বেশ কিছু কৃত্রিম মিষ্টত্ব (Artificial Sweeteners) ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যা খাবারে মিষ্টত্বও নিয়ে আসে। আবার মধুমেহকেও বাড়তে দেয় না।


চিনি ছাড়া খাবারে মিষ্টত্ব নিয়ে আসুন এভাবে-


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কৃত্রিমভাবে খাবারে মিষ্টত্ব আসে যে উপাদানগুলি থেকে, তা শরীরে ক্যালোরির মাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়তে দেয় না। মধুমেহ রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শুধু তাই নয়, যাঁরা ওজন কমানোর জন্য চেষ্টা করছেন, তাঁদের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। 


১. স্টেভিয়া- স্টেভিয়া এক ধরনের উপাদান, যা খাবারে মিষ্টত্ব নিয়ে আসতে সাহায্য করে। মধুমেহ রোগীরা খাবারে এটি ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে না। এতে কোনও ক্যালোরি নেই। যদিও, এটি অন্যান্যা যেকোনও স্যুইটনারের থেকে বেশি দামী। এর পাশাপাশি মনে রাখতে হবে, অনেক মানুষই এটি খাওয়ার পরে মাথা ঘোরা, বমিভাব, পাকস্থলীতে ব্যথার সমস্যায় ভুগেছেন।


আরও পড়ুন - Health Tips: যোগাভ্যাসের সময়ে কীভাবে ঘাড়ের ব্যথা এড়াবেন?


২. মঙ্ক ফ্রুট- মঙ্ক ফ্রুট এক ধরনের ফল। এর রস ব্যবহার করলে খাবারে মিষ্টত্ব আসে। আবার রক্তে শর্করার মাত্রাও বৃদ্ধি পায় না। এটিতে কোনও রকমের ক্যালোরি নেই। শুধু তাই নয়, চিনির থেকে এটি অনেক বেশি মিষ্টি। তাই ব্যবহারও করতে হয় খুবই কম।


৩. অ্যাসপারটেম- কৃত্রিম উপায়ে মিষ্টত্ব নিয়ে আসার উপাদানগুলির মধ্যে খুবই পরিচিত অ্যাসপারটেম। ডায়েট সোডায় ব্যবহার করা হয় এটি। চিনির থেকেও বেশি মিষ্টি। তাই ব্যবহারও করতে হয় খুবই কম। পাশাপাশি এটি রক্তে শর্করার মাত্রাকেও বাড়তে দেয় না। তাই মধুমেহ রোগীরা এটি ব্যবহার করতে পারেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।