কলকাতা: শরীরচর্চা করার সময় অত্যন্ত সচেতন থাকা দরকার। নাহলে ভুলবশত ঘটে যেতে পারে নানা শারীরিক সমস্যা। আচমকা ব্যথা লাগা, পেশিতে টান ধরা কিংবা গাঁটে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শরীরচর্চার করার সময়ে অসাবধানতাবশত ঘাড়ের ব্যথা হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটা ঘটনা। তাঁদের মতে, নিয়মিত যাঁরা যোগাভ্যাস করেন, তাঁদের মধ্যে এমন ঘটনা দেখা যায়। ভুল বসার কায়দা, মাথা ঘোরানোর কায়দায় ভুল করে ফেলা এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নড়াচড়ায় ভুলের কারণে ঘাড়ে ব্যথা দেখা দিতে পারে। ঘাড়ে ব্যথার ফলে মাথার যন্ত্রণা এবং আরও নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই যোগাভ্যাসের (Yoga) সময়ে অত্যন্ত সাবধান থাকা প্রয়োজন। কীভাবে যোগাভ্যাসের সময়ে ঘাড়ের ব্যথা এড়াবেন, সে সম্পর্কে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


যোগাভ্যাস করার সময়ে যেগুলো অবশ্যই মনে রাখবেন-


১. নিজেকে সুস্থ রাখতে বহু মানুষই যোগাভ্যাস করে থাকেন নিয়মিত। কিন্তু অনেকেরই সঠিক পদ্ধতিটা জানা নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, যোগাভ্যাস শুরু করার আগে হালকা ব্যায়াম করে নেওয়া প্রয়োজন। প্রথমে শরীরের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সচল করে নিতে হবে। কোমর, কব্জি, হাত, পা, মাথা, ঘাড় হালকাভাবে ঘড়ির কাঁচার দিকে এবং বিপরীত দিকে ১০বার করে ঘোরাতে হবে। এছাড়াও শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলিকে সচল করার জন্য হালকা ধরনের ব্যায়াম করে নিন। এরপর যোগাভ্যাস করলে ঘাড়ে ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম থাকে।


২. ব্যায়াম করার পর কয়েক মিনিট শবাসন করে নিন। শরীরের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলিকে রিল্যাক্স করার জন্য এটি করা অত্যন্ত জরুরি।


আরও পড়ুন - Health Tips: কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন হাঁপানির সমস্যা দেখা দিয়েছে?


৩. নিয়মিত স্ট্রেচিং করার অভ্যাস রাখতে হবে। যোগাভ্যাস শুরু করার আগে স্ট্রেচিং করলে ঘাড় এবং কাঁধে আচমকা চোট আঘাত লাগার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে অন্তত তিনবার এই ব্যায়াম করা জরুরি।


৪. ঘাড়ের ব্যথা এড়াতে যোগাভ্যাস করার সময়ে হঠাত ঘাড় ঘুরিয়ে ফেলবেন না। এতে চোট লাগার সম্ভাবনা বাড়ে। ধীরে ধীরে ঘাড় ঘোরাতে হবে।


৫. যে যোগাসনগুলি করতে আপনার শরীরে অহেতুক চাপ পড়ছে না, এমনই আসনগুলি বেছে নিন শুরুতে। ধীরে ধীরে শরীরকে যোগাভ্যাসের জন্য তৈরি করুন।


এর পাশাপাশি আরও কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ঘাড়ে ব্যথার অন্যতম কারণগুলি হল স্মার্টফোন, কম্পিউটর, ট্যাবলেট ইত্যাদির অত্যধিক ব্যবহার। সারাদিনের অনেকটা সময়ে এগুলো আমরা ব্যবহার করে থাকি। আর তার ফলে ব্যপক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্যে। দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করার ফলে ঘাড়, কাঁধ এবং পিঠের ব্যথা দেখা দেয়।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।