কলকাতা: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা নিয়ে, বেলাগাম ওজনকে কমানো নিয়ে নানা সময়ে নানা কথা আলোচনা হয়। ফ্যাটজাতীয় খাবার, ফাস্ট ফুড খাওয়া কমানোর কথা বলা হয়ে থাকে। ঘরে তৈরি খাবারে বেশি ভরসা করতে বলা হয়। কিন্তু ওজন বেলাগাম হলেই কী খাওয়া হবে তা নিয়ে বিস্তর চিন্তা করতে হয়।
এই সময়েই ভরসা করা যায় প্রোটিনসমৃদ্ধ (Protein) খাবারের উপর। এমনিতেই এই খাবারগুলি পাতে রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। ওজন কমাতেও কার্যকরী এগুলি। কেন? ওজন ঠিক রাখতে গেলে প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, হাড়, পেশি এবং ত্বকের পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন।
ডিম:
ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ-ডিনার, যেকোনও সময়ে খাওয়া যায় ডিম (EGG)। খাওয়া যায় বিভিন্ন ভাবে। সেদ্ধ ডিম বহুল প্রচলিত। পাশাপাশি পোচ করে বা ওমলেট করেও খাওয়া যায়। ভারতে সস্তায় পুষ্টিকর প্রোটিনের উৎস হিসেবে ডিম বিবেচিত হয়। মিড-ডে মিলেও এই কারণেই ডিমের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের অত্যন্ত ভাল উৎস ডিম।
বিনস-জাতীয় খাবার:
নানা ধরনের শুঁটি, ডাল, বিনস (Beans) উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের ভরপুর উৎস। এর মধ্যে কড়াইশুঁটি, মটরশুঁটি, বিভিন্ন ধরনের ডাল, রাজমার মতে শস্য পরে। প্রোটিন, ফাইবার এবং উচ্চমানের কার্বোহাইড্রেটের উৎস এগুলি। ওজন কমাতে এগুলি পাতে রাখা প্রয়োজন। নিরামিশাষীদের জন্য এই খাবার প্রোটিনের মূল উৎস।
সামুদ্রিক মাছ:
সামুদ্রিক মাছ (Seafood) খনিজসমৃদ্ধ। পাশাপাশি প্রোটিনেরও উৎস। সামুদ্রিক মাছে উচ্চমাত্রায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
বাদাম-বীজ:
বিভিন্ন ধরনের বীজ (যেমন সূর্যমুখী বীজ) এবং বাদাম (Nuts) ওজন কমাতে গেলে পাতে রাখতেই হবে। যেকোনও খাবারে এগুলি মিশিয়ে খাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ভেজানো বাদাম খাওয়ারও অভ্যাস করেন অনেকে। এতে ফাইবার, খনিজ ৯রয়েছে বহু পরিমাণে, যা ওজন কমাতে সহায়তা করে। অনেকক্ষণ ধরে পেট ভর্তি রাখে।
পনির:
দুধ থেকে তৈরি পনিরও প্রোটিনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎস। শিশু থেকে বয়স্ক সবার জন্যই এটি ভাল। পনির তুলনায় সহজপাচ্য। নিরামিশাষীদের প্রোটিনের চাহিদার বড় অংশ মেটায় পনির।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: রোজ আমন্ড খেলে লাগামে থাকবে ডায়াবেটিস? কী ইঙ্গিত সমীক্ষায়