মুম্বই: সুস্থ জীবনযাপনের লক্ষ্যে সতর্ক থেকে চলাফেরার চেষ্টা আমাদের জীবনযাপনের অঙ্গ। কিন্তু বিপদ তো সময় বুঝে আসে না। তাই তো কথায় বলে সাবধানতার মার নেই। যার মধ্যে অন্যতম দুর্ঘটনাজনিত ব্যক্তিগত বিমা।

পার্সোনাল অ্যাক্সিডেন্ট ইনসিওরেন্স কিন্তু সামলাতে পারে দুর্ঘটনার জেরে হওয়া প্রবল আর্থিক ক্ষতির ধাক্কা। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হোক বা বৈদ্যুতিক শক। বাথরুমে পা পিছলে পড়ে যাওয়া থেকে জলে ডোবা বা রাস্তায় কোনও দুর্ঘটনা, সবই আসে ব্যক্তিগত বিমার অধীনে।

প্রিমিয়ামের কভার, অঙ্ক বা কোনও ব্যক্তির চাকরির ধরন, সবকিছুই নির্ভর করে বিমার ক্ষেত্রে। হাই রিস্ক জবের ক্ষেত্রে বেশি থাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অঙ্ক। মোটামুটি গড়পরতা হিসেব বলে, কোনও ব্যক্তির বার্ষিক উপার্জনের ১৫ থেকে ২০ গুণ টাকা পাওয়া যায় বিমা করা থাকলে।

ছোটখাটো দুর্ঘটনার মতোই বিমার অধীনে আসে বড়সড় কোনও দুর্ঘটনাও। গুরুতর চোটের ক্ষেত্রে পাওয়া যায় দ্বিগুণ অঙ্ক। দুটো হাত বা পা খোওয়া যাওয়া, সম্পূর্ণ অন্ধত্ব বা গলার স্বর হারানো বা মানসিক ভারসাম্য হারানো সবকিছুই রয়েছে যার মধ্যে। চোট বা অঙ্গহানির পরিমাণ যতটা বিমা থেকে ক্ষতিপূরণের অঙ্কও হয় তেমন সামঞ্জস্যপূর্ণ।

শুধু কোনও বড় দুর্ঘটনাই নয়, কখনও যদি কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তাহলেও বিমার সুবাদে মেলে আর্থিক সাহায্য। যে পর্বে মোট বিমার অঙ্কের ১ শতাংশ করে অর্থ প্রত্যেক সপ্তাহে পেয়ে থাকেন বিমাকারী।