কলকাতাঃ বাড়িতে ফ্রেশ মোমো (Momo) বানিয়ে খান, পান অনেক উপকারিতা। তবে রাস্তার মোমো, তা নৈব নৈব চ। যদি স্বাস্থ্য মেনে ঘরোয়াভাবে কোনও বাইরে মোমোর দোকানের হদিশ পান, তাহলে খেতে পারেন। তবুও ঘরে বানানো মোমোই সব দিক থেকে সেফ। 

আরও পড়ুন,প্রেম থেকে প্রত্যাখানে ! সবেতেই বাজিমাত ইমোজির

রাস্তার মোমোতে এমএসজি, কোলাই ব্যাকটিরিয়া থাকে

মোমোতে অনেক পুষ্টি উপকারিতা থাকে। ২৮০ গ্রাম ক্যালোরি থাকে, ১৭.৫ গ্রাম পটাশিয়াম, ফসফরাস শূন্য থাকে। যা আপনার ওজন কমাবে। শরীরে জৌলুস আনবে। কিন্তু রাস্তার বাইরের মোমোতে মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট অর্থাৎ এমএসজি থাকে।এমএসজি  বুকে ব্যাথা , বমি ভাব সহ নান সমস্যা তৈরি করে। মূলত কলকাতা-তথা রাজ্যের জেলায়জেলায় বাড়ি থেকে কয়েক পা হাঁটলেই মোমোর দোকান। মোগলাই, চাউমিনের থেকেও এৎ চাহিদা বেশি। আর এখানেই লাভ তুলতে চান ব্যবসাদারেরা। স্বল্প বিনিয়োগে বেশি লাভ তুলতে গিয়ে ক্ষতির অভিযোগই ওঠে বেশি। তবে রাস্তার মোমো খুবই ভয়ঙ্ক হয়ে উঠেতে পারে, যদি আফনি বড় রোগের থেকে ওঠেন, কিংবা রোগ প্রতিরোড ক্ষমতা কম থাকে।সস্তার মোমতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আগের দিনের চিকেন বা তারও আগের চিকেন ফ্রেজ থেকে এনে ব্যবহার করা হয়। যার থেকে অজান্তেই বড়সড় রোগ বাধতে পারে। সাধারণত এই সকল ক্ষেত্রে কোলাই ব্যাকটিরিয়া উপস্থিত থাকে। যা অত্যন্থ ক্ষতিকর। তাই স্ট্রিটফুডে মোমো এড়িয়ে চলুন।

স্টিম মোমোয় প্রায় সব সবজির পুষ্টিগুণই অটুট থাকে

বাড়িতে বানিয়ে মোমো খাওয়াই সবচেয়ে পুষ্টিকর। কারণ এক্ষেত্রে ফ্রেশ মাংস, টাটকা সবজি ব্যবহার করছেন,  যা মূলত শরীরের উপকার করে। গাজর থেকে বাধাকপি সবই প্রায় খাটে মোমোর পুরে। তবে চিকেন মোমো খেলে ভিতরে অবশ্যই বাজার থেকে টাটকা মাংস কিনে আনুন। যেহেতু স্টিমে তৈরি হচ্ছে মোমো, তাই এর উপকারিতাও অনেক বেশি। আপনি প্রায় সব সবজির পুষ্টিগুণ পাবেন । যেটা তেলে ভাজলে সেভাবে পাওয়া যায় না। তাই মাথায় রাকুন রাস্তার মোমো যতটা পারবেন এড়িয়ে চলুন। বাড়িতে বন্ধু, আত্মীয়দের ডেকে অল্প সময়েই বানিয়েই ফেলুন টেস্টি মোমো।