কলকাতা: একটা বয়সের পর সুগার ও কোলেস্টেরল কাবু করে দেয় অনেককে। এই সমস্যার মোকাবিলা করতে নানারকম খাবার খাওয়া বন্ধ রাখতে হয়। এছাড়া, এর মধ্যে রয়েছে জীবনযাপনের ধারায় বদল আনা। অর্থাৎ, রোজকার লাইফস্টাইল বদলে ফেলতে হয়। সম্প্রতি এই দুই রোগের আরও একটি সুরাহা বাতলে দিল বিজ্ঞান। খাবারেই রয়েছে সেই সুরাহা। একটি বিশেষ রকম খাবার সপ্তাহে নিয়ম করে খেতে হবে। তাহলেই আর সুগার, কোলেস্টেরল কাবু করতে পারবে না। এই নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে নিউট্রিয়েন্টস জার্নালে।
নিউট্রিয়েন্টের গবেষণা
আমেরিকার কৃষি বিভাগ সম্প্রতি তরুণদের ডাল খেতে পরামর্শ দিয়েছে। বলা হয়েছে, সুগার ও কোলেস্টেরল কাবু করতে ডালই সেরা কাজ দেয়। এই নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তাতেই বিজ্ঞানীরা প্রমাণ দিয়ে দেখিয়েছেন এর উপকারিতা। সপ্তাহে অন্তত ৩০০ গ্রাম ডাল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কীভাবে পরীক্ষানিরীক্ষা ?
ওবেসিটি অর্থাৎ অতিরিক্ত ওজন রয়েছে, এমন কিছু ব্যক্তিদের নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তাদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। ওবেসিটি ছাড়াও তাদের সুগার ও কোলেস্টেরল বেশি ছিল। এছাড়াও, প্রদাহজনিত রোগও ছিল। এই ব্যক্তিদের দুই দলে ভাগ করে নেওয়া হয় । ১২ সপ্তাহ ধরে ডালের নানা পদ খাওয়ানো হয় তাদের। এর পর রক্ত পরীক্ষা করা হয়। দেখা গিয়েছে, তিনরকম রোগই কবজায় রয়েছে ওই ব্যক্তিদের।
কী জানা গেল পরীক্ষায় ?
- খালি পেটে কোলেস্টেরল মাপা হয়েছে ওই ব্য়ক্তিদের। দেখা গিয়েছে, তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও, খারাপ কোলেস্টেরল ও মোট কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমেছে।
- এছাড়াও, খাবার খাওয়ার পর রক্তে সুগার লেভেল লাগামের মধ্যে রয়েছে। যাকে আমরা পিপি (পোস্ট প্যান্ড্রিয়াল) সুগার বলে থাকি।
- এছাড়াও, প্রদাহজনিত সমস্যায় কমেছে ওই ব্যক্তিদের শরীরে। প্রসঙ্গত, প্রদাহজনিত সমস্যা থেকে আর্থ্রাইটিসজাতীয় রোগের হার বেড়ে যায়।
ডালের কী ভূমিকা ?
চিকিৎসকদের কথায়, ডালের মধ্যে থাকা ফাইবার বাইল অ্যাসিডকে বেঁধে ফেলতে পারে। তাই অ্যাসিড আর লিভারে ফিরে যায় না। অন্যদিকে নতুন করে লিভার থেকে বাইল অ্যাসিডের উৎপাদন বেড়ে যায়। এর ফলে রক্তে সিরাম কোলেস্টেরলের হার কমতে থাকে।
প্রসঙ্গত, আমরা যে ধরনের ফ্যাট খাবার খাই, তার মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাটও থাকে। এই ফ্যাটই কোলেস্টেরলের জন্য দায়ী। ডালের ফাইবার লিপিড মেটাবলিজমে বদল আনে। এর ফলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ কমতে থাকে শরীরে।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Vegan And Keto Diet: ডায়েটের গুণেই ভোল বদলাচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ! গবেষণায় নয়া চমক