Migraine: মাইগ্রেনের সমস্যা (Migraine) দূর করার জন্য প্রতিদিনের জীবনশৈলীতে (Daily Lifestyle) কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। সাধারণত মাইগ্রেনের সমস্যা বিভিন্ন ধরনের হয়। অর্থাৎ এক একজনের এক এক ভাবে মাথায় যন্ত্রণা হয়। তবে যার যে ভাবেই মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিক, এককথায় এই যন্ত্রণা অসহনীয়। 


দেখে নেওয়া যাক কী কী কারণে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে



  • উজ্জ্বল আলোতে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে।

  • প্রচণ্ড জোরে আওয়াজের মধ্যে থাকলে মাইগ্রেন অ্যাটাক হতে পারে।

  • আপনি যদি খুব স্ট্রেস অর্থাৎ মানসিক চাপে থাকেন তাহলেও মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে।

  • ডিহাইড্রেশন অর্থাৎ শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে পারে।

  • মহিলাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও বাড়তে পারে মাইগ্রেনের ব্যথা।

  • সঠিক ভাবে বিশ্রাম এবং ঘুম না হলে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

  • নির্দিষ্ট কিছু খাবার বা পানীয় বিশেষ করে অ্যালকোহল, অতিরিক্ত ধূমপান, টানা চলতে থাকা ওষুধের পরিবর্তন, আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং ক্যাফাইন জাতীয় পানীয় থেকেও মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে পারে।


মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে প্রতিদিনের জীবনে কী কী পরিবর্তন আনবেন



  • প্রতিদিন যোগাসন অভ্যাস করুন। সেই সঙ্গে চলুক হাল্কা শরীরচর্চা। মেডিটেশন বা ধ্যান করলেও উপকার পাবেন। এছাড়াও ব্রিদিং একসারসাইজ করুন। অর্থাৎ যেসব শরীরচর্চা করলে আপনার শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকবে না সেগুলো অভ্যাস করুন। মাইগ্রেনের সমস্যা কমাতে এইসব বিষয় সহায়তা করে।

  • শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেবেন না। ডিহাইড্রেশনের সমস্যা এড়াতে সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে তরল খেতে হবে। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর পানীয় আপনি খেতে পারেন। সেই সঙ্গে পরিমিত জল খেতেই হবে। 

  • পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম প্রয়োজন। কোনওভাবেই রাতের ঘুম নষ্ট করবেন না। পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ঘুম না হলে অবশ্যই মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়বে। তাই বিশ্রামের দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিন। একেবারেই মানসিক চাপ নেবেন না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ Mental Stress মাইগ্রেনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। 

  • অতিরিক্ত ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করা প্রয়োজন। নাহলে মাইগ্রেনের সমস্যা কমবে না। শরীরচর্চা করলেও খুব ভারী ওয়ার্ক আউট না করাই ভাল।  


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন- শীতের মরসুমে খাবারের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে কী কী উপকার পাবেন?