কলকাতা: শরীর ভাল রাখতে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে অনেক কথা হয়। কোন ডায়েটে কী উপকার তা নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে। উৎসবের মরসুমে ওজন ঝরানো থেকে, ত্বক উজ্জ্বল রাখা সব কিছুর জন্য একটা ভাল ডায়েট (Diet) প্ল্যানের খোঁজ সকলেই করেন। সেই অভ্যাস যদি সারা বছর চালানো যায়, তাহলে আলাদা করে কোনও সময় বিশেষ যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন খুব একটা পড়ে না।


ব্যস্ত সময়ে রান্না করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। বাড়িতে বা কাজের জায়গায় সবসময়ে হাতে সময় থাকে না, পরিপাটি করে খাওয়া-দাওয়া করার। সহজে খাওয়া যাবে এবং সময় কম লাগবে এমন কিছু পানীয় রয়েছে। যা পেট তো ভরাবেই, পাশাপাশি শরীরেরও দারুণ উপকার করবে। ব্রেকফাস্ট বা বিকেলের খাবার বানাতেও কাজে লাগবে সেই পানীয়।


কোকোয়া ড্রিঙ্ক:
কোকোয়াতে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট (Anti-Oxidants) রয়েছে। তার মধ্যেই একটি ফ্ল্যাভোনয়েড। যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। মনো স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডও কোলেস্টেরল লাগামে রাখতে সাহায্য করে। এই ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে ডার্ক চকোলেটেও। ফলে কোকোয়া গুঁড়ো বা ডার্ক চকোলেট গুঁড়ো করে দুধে মিশিয়ে খাওয়া যায়। কোনও স্মুদি বা কর্নফ্লেক্স দিয়েও জমে যাবে ব্রেকফাস্ট।


সয়াবিনের দুধ:
গরুর দুধ অনেকে সহ্য করতে পারেন না। তাঁদের জন্য রয়েছে সয়াবিন (Soybean Milk) দুধের অপশন। এতে গরুর দুধের চেয়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক কম। উদ্ভিদ-প্রোটিনে ভরপুর। ফলে যাঁরা প্রাণীজ প্রোটিন এড়াতে চান তাঁদের জন্য় ভাল অপশন। হৃদরোগ সংক্রান্ত অসুখে যাঁরা ভুগছেন তাঁরা সয়াবিনের দুধের উপর ভরসা করতে পারেন।


ওট মিল্ক:
ওট মিল্কও একটা ভাল অপশন। একধরনের ফাইবার (Soluble Fibre) রয়েছে যার নাম বেটা-গ্লুক্যান (Beta Glucan)। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ওট মিল্কে এই উপাদানটি রয়েছে। সাধারণ গরুর দুধের চেয়ে ওট মিল্কে ফাইবার ও প্রোটিনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে।          


টোম্যাটোর রস:
স্যালাড থেকে তরকারি, টোম্যাটো নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। এই আনাজটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। ত্বকের পরিচার্যর ব্যবহৃত হওয়া টোম্যাটো, শরীরের আরও একাধিক উপকার করে। এই আনাজে থাকা লাইসোপিন (Lycopene) নামক উপাদান লিপিডের মাত্রা (Lipid Level) এবং খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এতে থাকা নিয়াসিন (Niacin) নামক উপাদান এবং ফাইবারও উপকারী। সপ্তাহে বেশ কয়েকবার টোম্যাটোর রস আলাদা করে খেতে পারেন।


গ্রিন টি:
যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে চালাতে ডায়েটে রাখা যায় গ্রিন টি (Green Milk)। ওবেসিটি কমাতে, ওজন ঝরাতে সাহায্য করে গ্রিন টি। অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর গ্রিন-টি কোলেস্টেরল কমানো থেকে প্রস্টেটের সমস্যা ঠেকানো একাধিক ক্ষেত্রে সাহায্য করে বলে জানিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।  


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
 
আরও পড়ুন: কাঁচা গাজর খাওয়ার উপকারিতাগুলো কী কী?