Loud Snoring: নাক ডাকার সমস্যা কিন্তু মোটেই অবহেলার বিষয় নয়। অনেকেই খুব জোরে নাক ডাকেন। শুধু রাতে ঘুমের সময় নয়, যখনই ঘুমান, তখনই জোরে নাক ডেকে ফেলেন বেশ জোরে আওয়াজ করে। আশপাশের লোক বিরক্ত হন। অনেকে হাসাহাসিও করেন। তবে জোরে নাক ডাকার এই সমস্যা মোটেই হাসাহাসি কিংবা রাগারাগি করার বিষয় নয়। অবহেলাও করা উচিত নয়। কারণ এই লক্ষণ বড় রোগের লক্ষণ হতে পারে। শুরুতেই সতর্ক হলে, বিপদ এড়াতে পারবেন আপনি।
নাক ডাকার সমস্যা আসলে কী, এই উপসর্গ দেখা দেওয়া কোন কোন বড় সমস্যা লক্ষণ
সমস্ত নাক ডাকার সমস্যা কিন্তু অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া নয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই নাক ডাকার সমস্যা আসলে ওএসএ বা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া। আদতে এটি মানবশরীরের একটি ডিসঅর্ডার। ঘুমের সময়েই দেখা যায় এই গুরুতর ধরনের স্লিপ ডিসঅর্ডার। শ্বাস নেওয়ার সময় নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস বারবার বাধাপ্রাপ্ত হলে, থেমে গিয়ে আবার শুরু হলে তা শেষ পর্যন্ত নাসিকা গর্জনের আকার নেয়।
অল্পবিস্তর নাক আমরা অনেকেই ঘুমের সময় ডেকে থাকি। তবে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এই সমস্যা যথেষ্ট গুরুতর। নাক ডাকার সমস্যা অবহেলা করলে অসুবিধা এতটাই মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে যে, ঘুমের মধ্যে আপনার নিঃশ্বাস বন্ধও হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘুমের সময় নাক ডাকার এই সমস্যা থেকে আপনার কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমের উপর জোরদার প্রভাব পড়তে পারে। আর তার ফলে দেখা দিতে পারে হৃদযন্ত্র অর্থাৎ হার্টের একাধিক সমস্যা। এমনকি আচমকা বৃদ্ধি পেতে পারে রক্তচাপের মাত্রাও। আর ব্লাড প্রেশার বেড়ে গেলে নানাবিধ ভাবে আপনার শরীর খারাপ হতে পারে। তাই সাবধানে থাকা জরুরি।
তাই নাক ডাকার সমস্যা যাঁদের রয়েছে তাঁরা অবহেলা না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তার প্রভাবে সুস্থ থাকবেন। বড়সড় কোনও সমস্যা দেখা দেবে না আচমকা। স্বামী-স্ত্রী'র মধ্যে একজনের নাক ডাকার সমস্যা থাকলে, অন্যজন বিরক্ত না হয়ে বরং পার্টনারকে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার উপদেশ দিন। সঠিক সময়ে সতর্ক হলে সুস্থ থাকবেন আপনি। অকারণ শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে জটিলতা তৈরি হবে না। তাই নাক ডাকার বিহশয়টী একেবারেই অবহেলা করা চলবে না।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।