কলকাতা: ওজন বাড়লে থাবা বসায় নানা রোগ। তাই শরীর ঠিক রাখতে প্রথম থেকেই ওজনে (Body Weight) নজর দিতে বলেন বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে দূরে রাখা যায় ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখের মতো বিষয়গুলিকেও।


ওজন নিয়ন্ত্রণ কি খুব কষ্টসাপেক্ষ কাজ? প্রতিদিন সময় বের করে শরীরচর্চা (Exercise), কড়া ডায়েট (Diet) না করলে কি ওজন কমবে না। বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা করেছেন, ভারী শরীরচর্চা বা খুব কড়া ডায়েটের প্রয়োজন নেই। ওজন ঠিক রাখতে গেলে প্রয়োজন Regularity অর্থাৎ প্রতিদিনই অল্প করে শরীরচর্চা এবং তার সঙ্গে মেপে খাওয়ার অভ্যাস। 


এমন কিছু কিছু অভ্যাস রয়েছে, যা নিয়মিত মেনে চললে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে দেহের ওজন।


পর্যাপ্ত জল পান:
ঠিকমতো জল (Water Drinking) খাওয়ার সঙ্গে নাকি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার সম্পর্ক রয়েছে। Journal of Clinical and Diagonostic Research-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ (Lunch) ও ডিনারের (Dinner) আগে নির্দিষ্ট পরিমাণে জল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সকালে ঘুম থেকে উঠেও অন্তত এক গ্লাস জল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। 


ব্রেকফাস্টে প্রোটিন:
সকালের খাওয়ারে প্রোটিন (Protein) বেশি রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। পিনাট বাটার, ডিম, দই-এই ধরনের খাবার ব্রেকফাস্টে রাখলে তা অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ওজনও নিয়ন্ত্রিত রাখে।  


প্রয়োজন ফলও:
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট (Anti Oxidants) এবং ফাইবারের (Fibre) ভরপুর উৎস ফল। তাই সকালের দিকেই খেতে হবে ফলও। ফলের জন্য ওজন বৃদ্ধি হয় না। বরং শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া ভাল থাকায় ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। Annals of Internal Medicine- জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষা বলছে প্রতিদিন ফলের মাধ্যমে ফাইবার শরীরে গেলে তা রক্তচাপ (Blood Pressure) নিয়ন্ত্রণে রাখবে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।  


হোল গ্রেইন:
ব্রেকফাস্টে রাখা যাবে হোল গ্রেইনও (Whole Grains)। যেমন ওটমিল। বহু পরিমাণে ফাইবার ও অন্য পোষকপদার্থ থেকে এই খাবারে। যা সুষম জায়েটের জন্য প্রয়োজনীয়। 


হালকা শরীরচর্চা:
শরীরচর্চা প্রয়োজন। তবে তার জন্য ভারী ব্যায়াম, জিম বা সাঁতার দরকার নেই। প্রতিদিন অল্প করে হাঁটলেও (Brisk Walk) হবে। সকালে হোক বা সন্ধেয় হাঁটার অভ্যাস থাকলে ওজন দ্রুত কমবে। তার সঙ্গেই মানসিক ভাবে ভাল থাকা যাবে। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পোরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন। ছবি: Pixabay/Pexels


আরও পড়ুন: ত্বকের পরিচর্যায় কোন ধরনের এসেনসিয়াল অয়েল ব্যবহার করলে চটজলদি উপকার পাবেন?