Iron Deficiency: আয়রন (Iron) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক উপকরণ যা আমাদের শরীরের জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয়। মানবদেহে আয়রনের ঘাটতি (Iron Deficiency) অথবা আধিক্য, কোনওটাই কাম্য নয়। কারণ এর জেরে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আমাদের শরীরে যে লোহিত রক্তকণিকা রয়েছে তার মধ্যে থাকে হিমোগ্লোবিন নামের প্রোটিন। এই হিমোগ্লোবিনেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ আয়রন। অন্যদিকে লোহিত রক্তকণিকা আমাদের সারা শরীরে অক্সিজেন সঠিকভাবে সঞ্চালন হতে সাহায্য করে। মহিলাদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি বেশি দেখা যায়। আর এর ফলে প্রভাব পড়ে হিমোগ্লোবিনের উপর। আয়রনের ঘাটতি হলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- পিরিয়ডস অর্থাৎ ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়। তাই এইসময় খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
- অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীনও ভ্রূণের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য আয়রনের মাত্রা সঠিকভাবে শরীরে বজায় থাকা প্রয়োজন। তাই এই পরিস্থিতিতে মহিলাদের একটু বেশিই সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
- উদ্ভিদজ আয়রন আমাদের শরীরে যুক্ত হতে একটু বেশি সময় লাগে। বলা যায়, অ্যানিম্যাল বেসড আয়রনের উৎস থেকে দ্রুত মানবশরীরে এই রাসায়নিক যুক্ত হতে পারে। তাই যেসব মহিলারা নিরামিষ খাবার খান কিংবা ভেগান ডায়েট করেন তাঁদের একটু বেশিই সাবধান থাকতে হবে।
প্রতিদিনের জীবনে সহজ কিছু পরিবর্তন আপনার শরীরে আয়রনের মাত্রা সঠিক রাখবে
- আয়রন সমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই মেনুতে রাখুন। মাংস, ডিম, মাছ, বিনস, বিভিন্ন ধরনের ডাল, তোফু, পালংশাক, ব্রকোলি, কালে (সবুজ শাক একপ্রকারের), রুটি, বিভিন্ন দানাশস্য, সামুদ্রিক মাছ- ইত্যাদি খেতে পারেন।
- শরীরে আয়রনের মাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখতে হলে শুধু আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেলে হবে না। এর সঙ্গে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াও প্রয়োজন। যেকোনও ধরনের লেবুতে ভরপুর ভিটামিন সি থাকে।
- চা, কফি, ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার অনেক সময় আয়রন শোষণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই এই জাতীয় খাবার খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার। চা, কফি সবই খান, কিন্তু একটু পরিমিত ভাবে।
- মহিলাদের ক্ষেত্রে শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে একাধিক সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। যেমন- অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন আপনি। মাথা যন্ত্রণা হবে। সারাক্ষণ ঝিম ধরা ভাব থাকবে। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। বুকে ব্যথা হতে পারে। আপনি দুর্বলতা অনুভব করতে পারেন। প্রদাহজনিত সমস্যা বাড়তে পারে, ভেঙে যেতে পারে নখ। ত্বকে জেল্লা কমে যাবে। আচমকাই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে। হার্টবিট আচমকাই বেড়ে যেতে পারে। এইসব সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না। তার ফলে বিপদ বাড়তে পারে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।