কলকাতা: বিকেল নামতে না নামতেই ভনভনিয়ে ঢুকে পড়ে ওরা। কোনও না কোনও ফাঁক গলে কখনও বাথরুম, কখনও আবার রান্নাঘর। তার পর, ভোর না হওয়া পর্যন্ত, কানের কাছে চলে সুর করে 'গান' চলে। সঙ্গে কামড়। কামড় মানে সেখান থেকে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া ও চিকুনগুনিয়ার আশঙ্কা। এখান থেকে বাঁচার উপায়? একাধিক উপাদান ব্যবহার করে মশা তাড়ানো যেতে পারে। সবথেকে আশার কথা হল, এই উপাদানগুলির বেশিরভাগই আমাদের হাতের কাছে থাকে।


কী কী করা যেতে পারে?
যেমন ধরুন, কর্পূর। দরজা-জানলা বন্ধ করে কর্পূর জ্বালিয়ে দিলে আধঘণ্টার মধ্যে মশার উপদ্রব অনেকটাই কমে যাবে। লবঙ্গ পছন্দ? রান্নায় পছন্দ কিনা, সে কথা এখানে হচ্ছে না। মশা তাড়ানোর জন্য কখনও লেবুর মধ্যে লবঙ্গ ভরে ঘরের এক কোণে রেখে দিয়ে দেখতে পারেন। এটিও দারুণ কার্যকরী উপায়। ল্যাভেন্ডার অয়েল। অনেকের ধারণা, ল্যাভেন্ডার অয়েল এবং টি ট্রি অয়েলের গন্ধ মশা একদম পছন্দ করে না। সারা বাড়িতে একবার এই তেল ছড়িয়ে দেখতে পারেন।  মশার উপদ্রব প্রায় চলে যাবে। অ্যাপল সিডার ভিনিগারের নানা উপকারের কথা হয়তো শুনে থাকবেন। কিন্তু এটি যে মশা তাড়াতেও দারুণ উপযোগী, সেটা হয়তো আমাদের অনেকেই জানি না। ঠিকঠাক উপকরণের সঙ্গে মেশাতে পারলে দুরন্ত মশা-নিধনকারী স্প্রে তৈরি হতে পারে অ্যাপল সিডার ভিনিগার দিয়ে। জমা জল যে মশার বংশবৃদ্ধির পক্ষে আদর্শ, সেটা জানা থাকলেও বহু সময়ই আমাদের খেয়াল থাকে না। তাই খোলা কোনও জায়গায় জল জমতে দেওয়া যাবে না। বাগান, ফুলগাছের টব বা পরিত্যক্ত বাক্স, এমন কোথাও যেন জল না জমে থাকে, সে দিকে নজর দেওয়া দরকার। মশা তাড়ানোর ধূপ, স্প্রে  এবং বিভিন্ন ধরনের লিকুইড তো রয়েছেই। তবে  এই ধরনের কৃত্রিম উপায় ছাড়া একাধিক চেনা উপকরণ ব্যবহার করেও যে মশা তাড়ানো সম্ভব, সে কথা বিশ্বাস করেন অনেকে।  (আমাদের রাজ্যে ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের দাপট যে কতটা, তা হাড়ে হাড়ে টের পান বাসিন্দারা। বর্ষার মরসুমে তো বটেই, বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরও এই উপদ্রব থামতে সময় লাগে। সে দিক থেকে এই মশা তাড়ানোর উপায়গুলি অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। 


আরও পড়ুন:পার্কিনসনস রোগীদের জন্য ‘রোবট পোশাক’ বানাল হার্ভার্ড! জানাল পরার কায়দাও