কলকাতা: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেখান থেকে বেরিয়েই তিনি সাংবাদিকদের জানান, বেশি খাবার খাওয়ার দোষেই নাকি স্ট্রোক হয়েছে! চিকিৎসকরা এই বিষয়ে সাবধান করেছেন। খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছেন তাঁকে। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। তার সঙ্গে খাওয়ার সম্পর্ক কী? রয়েছে। তবে তার আগে জানতে হবে ব্রেন স্ট্রোকের ধরনধারন।
ইসকেমিক ব্রেন স্ট্রোক
ইসকেমিক ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন মিঠুন। ৮৭ শতাংশ ক্ষেত্রে এই ধরনের স্ট্রোক হতে দেখা যায়। হার্ট থেকে ব্রেনে রক্ত পরিবহনের পথে বাধা এলে এই স্ট্রোক হয়। ওই নির্দিষ্ট ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধলে বা ক্লট হলে ব্রেনে রক্ত কম যায়। এর ফলে মস্তিষ্কের কোশগুলিতে অক্সিজেন কম পৌঁছায়। মস্তিষ্কের কোশগুলি দুর্বল হতে শুরু করে। এর পরের ঘটনাটাই স্ট্রোক।
কীভাবে এই ক্লট হয় ?
রক্তে দুইভাবে ক্লট হয়। একটি বলা হয় স্থানীয় রক্ত জমাট বাঁধা। যাকে থ্রম্বাসও বলে। অন্য ক্ষেত্রে শরীরের অন্য স্থান থেকে ক্লট এসে ওই অংশে বাসা বাঁধে। একে এমবোলাস বলে।
স্ট্রোক কেন হয় ?
স্ট্রোক হয় রক্ত জমাট বাঁধার কারণে। তবে রক্ত জমাট বাঁধার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। চিকিৎসকদের কথায়, এই কারণগুলি হল -
- উচ্চ রক্তচাপ
- কোলেস্টেরল
- ডায়াবেটিস
- মদ্যপান
- ধূমপান
- অতিরিক্ত ওজন
- চলাফেরা কমে যাওয়া
- পারিবারিক ইতিহাস
উপরের কারণগুলি স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। এর মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের পিছনে বড় কারণ অনিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়া। আর সেই অনিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়ার কথাই শোনা যায় বর্ষীয়ান অভিনেতার মুখে।
স্ট্রোক এড়াতে কী করা জরুরি ?
- ধূমপান কমাতে হবে।
- মদ্যপান বন্ধ করা জরুরি।
- উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কারণ রক্তচাপ রক্তের পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ দিক।
- সুগারের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কারণ সুগার বা ডায়াবেটিস একসঙ্গে আরও বেশ কিছু রোগ ডেকে আনতে পারে। তার মধ্যেই রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ।
- নিয়মিত ব্যায়াম - নিয়মিত শরীরচর্চা এই অনেকগুলি রোগেরই সুরাহা হতে পারে। সুগার, প্রেশারের মতো সমস্যার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত ওজন।
- খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ - বর্ষীয়ান অভিনেতা যা বলেছেন, তা কোনওভাবেই এড়ানোর উপায় নেই। অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে থাকে। তার সঙ্গে একাধিক রোগের কারণ হয়ে ওঠে বেশি খাওয়ার অভ্যাস। তাই সেখানও লাগাম টানা জরুরি।
আরও পড়ুন - Coughing: রোগ সারলেও কাশি কমেনি ? কখন, কেন সতর্ক হবেন