কলকাতা: জ্বর-সর্দি হোক বা কোনও গুরুতর সংক্রমণ। এর হাত ধরে আসে কাশি। শরীর সুস্থ হয়ে গেলেও অনেক সময় কাশি থেকে যায়। কিছু দিন পর ধীরে ধীরে কাশি সেরে যায়। কিন্তু কখনও কখনও তা সারে না। থেকে যায়। এই প্রবণতা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কখন সতর্ক হতে হবে? এই বিষয়েই জানাল একটি গবেষণা। সম্প্রতি ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক কাশির হালহকিকত নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাতেই দেখা গিয়েছে, কাশির বিপজ্জনক ইঙ্গিত। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর কাশি না কমলে তা মারাত্মক। বড় বিপদের কারণ হতে পারে। কানাডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। 


যখন কাশিই বিপদের ইঙ্গিত 


ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের কথায়, বেশ কিছু রোগে কাশি একটি উপসর্গ। এই উপসর্গ রোগ সারলেও থেকে যেতে পারে। ১১ থেকে ২৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর কাশি থেকে যেতে দেখা যায়। কিন্তু বেশি দিন এই কাশি থাকা শরীরের জন্য ভাল নয়। তাহলে সেটি বড় বিপদের ইঙ্গিত হতে পারে। গবেষক কেভিন লিয়াং জানাচ্ছেন, সংক্রমণ সেরে গেলে কাশি নিজে থেকেই সেরে যেতে পারে। এর জন্য আলাদা করে ওষুধ খেতে হয় না। অতিরিক্ত খরচও বেঁচে যায়। অ্যাজমার মতো সমস্যায় ভোগা রোগীদের জন্য এটি বেশি করে প্রযোজ্য। 


কতদিনের মধ্যে কাশি সেরে যাওয়া উচিত ?


কেভিনের কথায়, সংক্রমণ সেরে যাওয়ার পর কাশি সর্বাধিক ৮ সপ্তাহ থাকতে পারে। তার মধ্যে কাশি সেরে যায়। না সারলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত বলে জানাচ্ছেন কেভিন।


একা কাশি নয়, দেখা দিতে পারে আরও বেশ কিছু সংক্রমণ। এর মধ্যে ঢোক গিলতে কষ্ট হওয়ার মতো লক্ষণ রয়েছে। এছাড়া, গলা ব্যথা,কাশি দিয়ে রক্ত বের হওয়ার লক্ষণ দেখতে হয়।


রোগের ইতিহাস প্রভাব ফেলে শরীরে


অনেক রোগীর রিকারেন্ট নিউমোনিয়া থাকে। অর্থাৎ বারবার নিউমোনিয়া ফিরে আসে। অনেকের অ্যাজমা, ধূমপানের অভ্যাস থাকে। সিওপিডি-এর সমস্যা থাকলেও এমন কাশি হতে পারে। তাই সেই সব রোগও কারণ হতে পারে দীর্ঘ সময় কাশি থেকে যাওয়ার। অনেক সময় এই গুরুতর রোগ প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ে না। তাই কাশির লক্ষণ দেখে সতর্ক হতে হবে। 


তথ্যসূত্র - আইএএনএস


আরও পড়ুন - Ear Cleaning Tips: চাবি, কাঠি দিয়ে কান সাফ করেন ? পর্দার বিপদ, বিকল্প কী