Monsoon Skin Care Tips: বর্ষার মরশুমে অয়েলি স্কিন (Oily Skin) যাঁদের, তাঁরা অন্যান্যদের তুলনায় একটু বেশিই সমস্যায় পড়েন। বাতাসে অতিরিক্ত আপেক্ষিক আর্দ্রতা (Humid Weather) থাকার কারণে সঠিকভাবে ত্বকের পরিচর্যা না হলে ত্বকে নোংরা বসে যেতে পারে। তার থেকেই দেখা দিতে পারে একাধিক সমস্যা। যেহেতু বর্ষাকালে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি তার কারণে আমাদের ত্বকে সিবাম প্রোডাকশন (Sebum Production) বেশি হয়। ফলে ত্বক এমনিতেই তেলতেলে হয়ে যায়। আর এর জেরেই যাঁদের অয়েলি স্কিন তাঁদের সমস্যা আরও বেশি। বর্ষাকালে যাঁদের অয়েলি স্কিন তাঁরা যদি সঠিক ভাবে ত্বকের যত্ন না নেন, তাহলে ব্রনর সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতএব সতর্ক থাকা জরুরি।
বর্ষাকালে ব্রনর সমস্যা এড়াতে কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন (বিশেষ করে অয়েলি স্কিন যাঁদের) দেখে নিন কিছু সহজ টিপস
নজর দিন ত্বক পরিষ্কারের দিকে- বর্ষার মরশুমে ভালভাবে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। বিশেষ করে বাড়ির বাইরে বেরোলে। বাড়িতে থাকলেও ভালভাবে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করা জরুরি। নাহলে ত্বকে সিবাম প্রোডাকশন বেশি হলে নোংরা, ময়লা ত্বকের মধ্যে বসে যাবে। দেখা দিতে পারে ব্রনর মত সমস্যা।
জরুরি ত্বকে স্ক্রাব করাও- ফেসওয়াশ দিয়ে শুধু মুখ ধুলেই হবে না। প্রয়োজন আছে স্ক্রাবিংয়ের। এছাড়াও আপনি ফেস ক্লেনজার কিংবা ফেস টোনার ব্যবহার করতে পারেন। স্ক্রাব করলে ত্বকের মরা কোষগুলি ঝরে যাবে। ত্বক উজ্জ্বল এবং মোলায়েম হবে। ত্বকের বেশ কিছু বিশেষ অংশ যেমন চোখের নীচের অংশ, নাকের উপর এবং চারপাশের অংশ, ঠোঁটের চারপাশ এগুলি ভালভাবে পরিষ্কার করা বাঞ্ছনীয়। বর্ষাকালে স্ক্রাবিংয়ের ব্যাপারে বিশেষ করে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। স্ক্রাব করার পরে ত্বকে কিন্তু অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে ময়শ্চারাইজার কিংবা ক্রিম। স্ক্রাবিং করলে শুধু যে ত্বকের ডেড সেল ঝরে যাবে তা নয়, ত্বকের মধ্যে জমে থাকা নোংরা এবং ময়লাও দূর হবে। তার ফলে আপনার ত্বক আরও উজ্জ্বল হবে।
বর্ষাতেও জরুরি সানস্ক্রিন- বর্ষাকালেও আমাদের ঘাম হয়। আর আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে মাঝে মাঝেই থাকে অস্বস্তিকর পরিবেশ। এই জাতীয় আবহাওয়ায় ঘাম আরও বেশি হয়। তাই এই সময় বাড়ির বাইরে বেরোলে সানস্ক্রিনের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। অন্যসময়ে ক্রিম বেসড সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেও বর্ষার মরশুমে জেল জাতীয় কিংবা ওয়াট্রা বেসড সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। যদি সুযোগ থাকে তাহলে বারবার মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে নতুন করে সানস্ক্রিন লাগাতে পারলে ভাল।
হাইড্রেটেড থাকতেই হবে- সঠিক পরিমাণে জল খেতে হবে। তাহলে আপনার শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। এর পাশাপাশি ডিটক্স হবে ত্বক এবং সিবাম প্রোডাকশনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কম জল খেলে শরীরে ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাবে।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন- আর কৃত্রিম সানস্ক্রিন নয়, ঘরোয়া উপকরণ দিয়েই এভাবে বানিয়ে নিন প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।