কলকাতা: যাঁরা নিরামিশাষী তাঁদের পর্যাপ্ত প্রোটিন পেতে গেলে হাতেগোনা কয়েকটি খাবারের উপরেই ভরসা করতে হয়। সেই তালিকাতেই রয়েছে মাশরুম। কার্বোহাইড্রেট থেকে প্রোটিন, ভিটামিন থেকে প্রয়োজনীয় খনিজ- সব ধরনের পোষক পদার্থই পাওয়া যায় মাশরুম (Mushroom) থেকে। বিভিন্ন দেশে, আমাদের দেশেই বিভিন্ন এলাকায় মাশরুম খাওয়ার চল বহু পুরনো। পুষ্টিগুণের জন্যই আমাদের বাংলায় ইদানিং ঘরে ঘরে পাতে রাখা হচ্ছে মাশরুম।


মাশরুমের যে একাধিক পুষ্টিগুণ (Nutrients) রয়েছে তা আগেই বলা হয়েছে। তার মধ্যেই প্রথম সারিতে থাকবে বেশ কয়েকটা। সেগুলো কী কী?


ভিটামিন ডি-এর উৎস:
ভিটামিন ডি (Vitamin D) হাড় ও পেশি গঠনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই ভিটামিন ডি-এর অভাবে একাধিক রোগের শিকার হতে পারেন অনেকে। রোদের উপস্থিতিতে ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরি হতে পারে। বাকিটা খাবার থেকে আসে। মাশরুম ভিটামিন ডি-এর প্রাকৃতিক উৎস।  


রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ:
উচ্চ রক্তচাপ (High Blood Pressure), হাইপারটেনশনের সমস্যা প্রাণঘাতীও হতে পারে। এই সমস্যায় লাগাম দিতে সোডিয়াম কম রয়েছে এমন ডায়েটে নজর দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। মাশরুম সেই তালিকায় পড়ে। এতে সোডিয়ামের মাত্রা কম, রয়েছে পটাশিয়াম। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।  


ওজনে লাগাম:
ওজন কমাতে (Weight Loss) গেলে সবচেয়ে বেশি কড়াকড়ি করতে হয় খাবারে। সেক্ষেত্রে ভরসা করা যায় মাশরুমে। এতে ক্যালোরির মাত্রা খুব কম। জলের পরিমাণও অনেকটাই বেশি। থাকে এতে। ওজন নিয়ন্ত্রণে মাশরুম রাখা যায় ডায়েটে। মাশরুমে রয়েছে ফাইবারও। 


রোগ প্রতিরোধ এহং হজমে সহায়ক:
মাশরুমে এমন একাধিক পোষকপদার্থ রয়েছে যা পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে ভাল থাকে রোগ প্রতিরোধ শক্তিও। মাশরুমে Selenium নামে একটি পোষকপদার্থ রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট তৈরি করতে সাহায্য করে। পাচনতন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যার ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে মাশরুম।


চোখের জন্য় উপকারী:
মাশরুমে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন বা ভিটামিন এ (Vitamin A)। চোখের জন্য, দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখার জন্য় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই খাবার। ত্বকের কোষের জন্যও প্রয়োজনীয়। এতে পাওয়া যায় ভিটামিন বি২ (Vitamin B2), এটাও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। 


শক্তি বাড়বে হাড়ের:  
মাশরুমে রয়েছে ভরপুর ক্যালসিয়াম (Calcium)। হাড় ভাল রাখতে অন্যতম প্রয়োজনীয় পোষক পদার্থ। আর্থারাইটিস, গাঁটের ব্যথা, পেশি সংক্রান্ত প্রদাহ কমাতে কাজে লাগে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী রাখবেন রোজের খাদ্য় তালিকায়?