Myopia In 50 Percent Indian Children: দিনের একটা বড় সময় ফোনের সামনেই কাটে। ফোন অথবা ল্যাপটপ স্ক্রিনের সামনে ২৪ ঘন্টার অনেকগুলো ঘন্টা কেটে যায়। আর এর জেরে বাড়ছে বিভিন্ন রকমের রোগ। সম্প্রতি তেমনি একটি রোগ নিয়ে সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা। আর চোখের সেই রোগটি হল মায়োপিয়া (myopia in children)। অর্থাৎ চোখে পাওয়ার চলে আসা। ২০৩০ সাল নাগাদ ভারতের অবস্থা এই দিক থেকে গুরুতর হতে পারে। সম্প্রতি এমনটাই আশঙ্কার সুর শোনা গেল চিকিৎসকদের গলায়। তাদের মতে, আর ছয় বছর বাদে প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে একজনের মায়োপিয়া হবে।
মায়োপিয়া আদতে কী ?
খুব সহজ ভাষায় বললে, মায়োপিয়া (What is myopia) চোখের পাওয়ারকে বোঝায়। তবে এই ক্ষেত্রে চোখের নেগেটিভ পাওয়ারকে বোঝানো হয়। অর্থাৎ এই রোগে মানুষ কাছের জিনিস ভাল করে দেখতে পায়। কিন্তু দূরের জিনিস ঠিকমতো দেখতে পায় না। যে কারণে মায়োপিয়ার আরেক নাম নিয়ারসাইটেডনেস। অর্থাৎ শুধু কাছের জিনিস দেখতে পারার ক্ষমতা থাকে চোখের। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, প্রতি তিনজন শিশুর মধ্য়ে একজন শিশুর চোখে মাইনাস পাওয়ার আসতে পারে। এর জন্য মূলত দায়ী ফোন, ল্যাপটপ, ট্য়াব। এগুলির সামনে দীর্ঘক্ষণ কাটে বলেই এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
পাঁচগুণ বেড়েছে গত ২০ বছরে
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা বলছে, ভারতে গত ২০ বছরে পাঁচগুণ বেড়ে গিয়েছে মায়োপিয়া। অর্থাৎ চোখে মাইনাস পাওয়ার। ১৯৯৯ সালে মাত্র ৪.৪৪ শতাংশ শহুরে শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যেত। বর্তমানে শহরে বাস করে এমন ২১.১৫ শতাংশ শিশুদের মদ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ ৩১ শতাংশ শিশুরা এই সমস্যায় আক্রান্ত হবে। অর্থাৎ তিনভাগের এক ভাগ শিশুর চোখেই দেখা দেবে মাইনাস পাওয়ার।
২০৫০ সালের শেষ অর্ধেক শিশু…
২০৫০ সালের শেষাশেষি অর্ধেক শিশুই এই সমস্য়ায় ভুগতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। সংবাদমাধ্য়ম আইএএনএস-কে একটি সাক্ষাৎকারে সেন্টার ফর সাইটের চেয়ারম্যান মহীপাল সিং সচদেব বলেন, ভারতীয়দের চোখে মাইনাস পাওয়ার খুব কমন। বর্তমানে ল্যাপটপ, ফোন, ট্যাব ও টিভির কারণে এই সমস্যা আরও বাড়ছে।
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন - World Hypertension Day 2024: রক্তচাপ মাপার সময় এই ভুলগুলি হচ্ছে না তো ?