কলকাতা: রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে (rheumatoid arthritis) বর্তমানে বিশ্বের ১.৮ কোটি মানুষ ভুগছেন। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমনটাই জানিয়েছে। আর্থ্রাইটিসের এই সমস্যা থেকে শরীরের আরও রোগ দেখা দিতে থাকে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (rheumatoid arthritis side effects) হার্ট, স্নায়ু ও ফুসফুসের রোগ ডেকে আনতে পারে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় এই রোগের বড় সুরাহা খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা। খোঁজ মিলেছে একটি বিশেষ ওষুধের। এই ওষুধটি রোগীর পেট বা থাইয়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে পুশ করা যায়। আর তা করলে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা ঠেকানো সম্ভব। আর্থ্রাইটিস থাকলে সেই রোগটির বৃদ্ধি স্লথ করে দেওয়া যায়।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস কাদের হয় (prone to rheumatoid arthritis)?
এই আর্থ্রাইটিস সাধারণত মধ্যবয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে অল্প বয়সেও এই রোগ হতে পারে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস আদতে একটি অটোইমিউন রোগ। এই ধরনের রোগে ইমিউনিটি নিজের থেকে শরীরের সুস্থ কোশগুলিকে নষ্ট করে। অসুস্থ করে দেয়। তাই একে অটোইমিউন রোগ বলে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস সেই গোত্রের একটি রোগ। এই রোগের এখনও কোনও চিকিৎসা নেই।
শুরু হয়েছে ট্রায়াল (trial for rheumatoid arthritis)
ল্যানসেট জার্নালে সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তাতে ওই ওষুধটির কথা বলা হয়। ওই ওষুধটির ট্রায়ালও শুরু হয়েছে। অর্থাৎ পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। সেই ট্রায়াল সফল হলেই ওষুধটি বাজারে আসবে।
গবেষণায় সফল কেন ?
প্রসঙ্গত, ওই ওষুধটি (rheumatoid arthritis drug) নিয়ে গবেষণা করেছেন লন্ডনের কিংস কলেজের একদল গবেষক। ব্রিটেন ও নেদারল্যান্ডসের মোট ২৮ টি হাসপাতাল বেছে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালগুলির থেকে মোট ২১৩ জন রোগীকে এই পরীক্ষার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল। কিংস কলেজের অধ্যাপক অ্যান্ড্রিউ কোপ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এখনও পর্যন্ত রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস নিয়ে এটি সবচেয়ে বড় গবেষণা। এছাড়াও রোগটি যাদের মধ্যে শুরু হতে পারে, তাদের নিয়ে এমন পরীক্ষা প্রথম। ফলে দুই দিক থেকেই ইতিহাস তৈরি হয়েছে এই পরীক্ষায়।
২১৩ জনের ওই দলটিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটি দলের উপর পরীক্ষাধীন ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়। অন্য দলের উপর সাধারণ ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। দেখা যায় পরীক্ষাধীন ওষুধটি পেয়ে ৯২ শতাংশ রোগী সুস্থ থাকছেন। অন্যদিকে সাধারণ ওষুধটিতে সুস্থ থাকছেন ৬৯ শতাংশ। যা অনেকটাই কম ।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Best Time of Walking: খালি পেটে না ভরা পেটে ? কোন হাঁটায় দ্রুত কমে ওজন