কলকাতা: শরীরের খেয়াল রাখার পাশাপাশি মনের খেয়াল রাখাও জরুরি। মানসিক স্বাস্থ্যের এমন অনেক দিক রয়েছে, যা নিয়ে আমরা সহজে মাথা ঘামাই না। অথচ সেই দিকগুলি আমাদের রোজকার কাজকর্মে প্রভাব ফেলে। এমনকি কাজ করার ধারাও বদলে দিতে পারে।‌ তেমনই একটি মানসিক সমস্যা হল অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার (obsessive compulsive disorder)। কোনও নির্দিষ্ট ধারণা থেকে কিছু কাজটি বারবার করার অভ্য়াস থাকে অনেকের। এই বিশেষ সমস্যাটিই হল ওসিডি। 


ওসিডি কাকে বলে ?


ওসিডি পুরো কথায় অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার। এর দুটো ভাগ রয়েছে। একটি হল অবসেশন। অন্যটি কমপালসন। অনেকেই ওসিডি বলতে ভাবেন পরিষ্কার থাকার বাতিক‌ বা বারবার  কোনও কিছু নিয়ে বারবার ভাবতে থাকা। কিন্তু এটি শুধু বাতিকের জেরে হয় না। বরং মনে দুশ্চিন্তা ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির প্রভাব কাজ করে। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি দেখে একজন একটি বিপদ বা ঝুঁকির ধারণা করে নেন‌। এটি হল অবসেশন। এর পর সেই ঝুঁকি এড়াতে একটি নির্দিষ্ট কাজ বারবার করতে থাকেন। সেটি হল কমপালসন। একে কমপালসিভ অ্যাক্টও বলা হয়। অনেক সময় দেখা যায়, ঝুঁকি হয়তো অতটা নেই যতটা তিনি ভাবছেন। অথবা যে কাজ করছেন, তাতে পুরো ঝুঁকি এড়ানোও যায় না। কিন্তু এই যুক্তি তাঁকে বোঝানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। অধিকাংশ সময় তিনি তার প্রতিযুক্তি দিয়ে থাকেন। 


ওসিডি শুধু বয়স্কদের হয়?


মনোবিদদের কথায়, ওসিডি যেকোনও বয়সেই হতে পারে। এমনকি ছোটবেলা থেকেও এই সমস্যা শুরু হতে পারে। পুরুষ ও মহিলা দুইপক্ষের মধ্যেই ওসিডি দেখা দিতে পারে।


ওসিডি-এর কারণ 


ওসিডি-এর কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বরং একাধিক শারীরিক ও পারিপার্শ্বিক কারণে এই সমস্যা হতে পারে বলে মনে করা হয়। 


ওসিডি-এর চিকিৎসা 


ওসিডি-এর কিছু নির্দিষ্ট চিকিৎসা রয়েছে। তার মাধ্যমে দুশ্চিন্তার হার কমিয়ে সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু পাশাপাশি নিজের ভাবনাচিন্তাতেও বদল আনা জরুরি। এটি সম্ভব না হলে সমস্যা সামাল দেওয়া কঠিন হয়। বরং নিজের ভাবনায় বদল আনলে এই সমস্যাটি অনেকটাই সামলে নেওয়া যায়।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Best Time of Walking: খালি পেটে না ভরা পেটে ? কোন হাঁটায় দ্রুত কমে ওজন