কলকাতা: প্রবল গরমে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা খুবই সাধারণ। তাপপ্রবাহের কারণে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। তার ফলে নানা শারীরিক সমস্য়া তৈরি হতে পারে। গরমকালে মানুষের যেমন এমন সমস্যা হয়, তেমনই একই সমস্য়া হতে পারে আপনার সঙ্গে থাকা না-মানুষ সঙ্গীটিরও। তারা নিজেরা বলতে পারে না। কিন্তু বেশ কিছু লক্ষ্ণণ দেখে সতর্ক হতে হয় পোষ্যের (pet) ডিহাইড্রেশন (dehydration) ঘটছে কিনা। কারণ সময় থাকতে সতর্ক না হলে পোষ্যের জীবনসঙ্কটও হতে পারে।


কী সমস্যা?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রবল গরমে হঠাৎ তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে অসুস্থ হতে পারে পোষ্য। ডিহাইড্রেশনের (dehydration) সমস্যা হতে পারে। এছাড়া রোদে থাকলে হিটস্ট্রোকের সমস্যাও হয়। এই সময়টাই টিক ফিভারের (tick fever) প্রকোপও দেখা যায় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


উপসর্গে নজর:
বিশেজ্ঞরা জানাাচ্ছেন, একাধিক উপসর্গ দেখে আগে থেকে সতর্ক হওয়া যায়। কুকুরের ক্ষেত্রে সেগুলি কী কী?


অত্যধিক লালা ঝরা: স্বাভাবিকের থেকে বেশি মাত্রায় লালা ঝরতে পারে। অন্য় সময়ে লালার যা ঘনত্ব হয়, তার চেয়ে যদি ঘনত্ব বেশি হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।


জ্বর: কুকুরের নাক স্বাভাবিক অবস্থায় ভিজে এবং ঠান্ডা থাকে। তাহলেই বোঝা যাবে পোষ্যের শরীর ঠান্ডা রয়েছে। যদি নাক গরম হয়ে যায় বা শুকনো মনে হয়, তাহলে পোষ্যের জ্বর (fever) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


ডায়রিয়া: পোষ্যেরও ডায়রিয়া হয়। অস্বাভাবিক ভাবে মলত্যাগ করলে, রঙের পরিবর্তন হলে সতর্ক হোন। কোনওভাবে মলের সঙ্গে রক্ত দেখতে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।


দুর্বলতা: ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে পোষ্য। অতিরিক্ত ঘুম হয়। দৌড়ঝাঁপ করতেও সমস্যা হয়।


কী সতর্কতা নেবেন?


১. গরমের সময় পোষ্যকে কোনওভাবেই বন্ধ গাড়ির মধ্যে রাখবেন না। ছায়ায় গাড়ি রাখলেও নয়। খুব প্রয়োজনে রাখতে হলেও এসি চালিয়ে রাখুন অথবা সব জানলা খোলা রাখুন।
২. সবসময় হাতের সামনে জল রাখুন। ঘরের এক কোণায় বাটিতে জল রেখে দিন। যাতে প্রয়োজনে পোষ্য জল খেতে পারে।
৩. পাখির খাঁচার মধ্যে জল রাখতে হবে। একটা খাওয়ার জন্য, অন্যটা গা ভেজানোর জন্য়। পাখির খাঁচা রোদে রাখা যাবে না। প্রয়োজনে সামনে ফ্যান চালিয়ে রাখতে হবে।
৪. দিনের বেলা হাঁটতে বেরনো যাবে না। অন্তত রোদ থাকাকালীন তো নয়ই। ভোরে অথবা সন্ধের পর পোষ্যতে হাঁটাতে হবে।
৫. ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে হাতের কাছে ওষুধ রাখতে হবে। যাতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ডাক্তারের কাছে পৌঁছনো না পর্যন্ত পরিস্থিতি সামলানো যায়।
৬. প্রতিদিনের ডায়েটে এমন খাবার রাখতে হবে যা পেট ঠান্ডা থাকে। দুই, ছাঁস, নারকেলের জল দেওয়া যেতে পারে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: এই ঝোঁকের পিছনে কি 'পূর্বপুরুষে'র অবদান? নয়া গবেষণায় চমকে দেওয়া তথ্য