কলকাতা: গান শুনলে মন ভাল হয়ে যায়। বিগড়ে থাকা মেজাজও চাঙ্গা হয়ে যায়। কিন্তু গান নাকি পাল্টে দিতে পারে মস্তিষ্কের দশাও। সম্প্রতি এমনটাই জানা গেল একটি গবেষণায়। ব্রিটেনের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করেছেন। তাতে দেখা গিয়েছে, বাজনা বাজালেই দারুণ কান্ড ঘটছে ব্রেনের ভিতর। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল হয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বুড়ো বয়সে মস্তিষ্কের রোগের ঝুঁকি কমছে। ৪০ বছরের বেশি বয়সিদের নিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়েছে। 


কী কী উন্নতি হয় ব্রেনের ? 


বাজনা বাজালে মস্তিষ্কের বেশ কয়েকটি উপকার হয়। এর একটি তালিকাও দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।



  • স্মৃতিশক্তি চাঙ্গা থাকে। বয়স কালে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যা এক সময় রোগে পরিনত হতে পারে। অ্যালঝাইমার্স ডিজিজ বা ডিমেনশিয়া এর পোশাকি নাম। নিয়মিত বাজনা বাজলে এই রোগটির ঝুঁকি কমে যায়।

  • কঠিন সমস্যার সমাধান করতে গেলে বুদ্ধির জোর লাগে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনেকের সেই জোর কমতে থাকে। কিন্তু বাজনার গুণে এই সমস্যাও কাবু করতে পারবে না। চিকিৎসকদের কথায়, কঠিন কঠিন সমস্যাও এতে সমাধান করা সম্ভব।


কোরাস গাইলেও একই উপকার !


শুধু বাজনা বাজানো নয়। এর পাশাপাশি একসঙ্গে কোরাস গাইলেও ব্রেনের একই উপকার হবে। গবেষকদের কথায়, এক সঙ্গে বসে গান গাওয়া  বা বাজনা বাজানোর অভ্যাস করা জরুরি। কারণ এতে একাকীত্বের সমস্যা অনেকটাই কাটে। গবেষকদের দাবি, সবার সঙ্গে একটি সৃজনশীল কাজে জড়িয়ে থাকার কারণেই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল থাকছে। যার প্রভাব পড়ছে পরবর্তী জীবনেও। 


কী বলছেন গবেষক ?


মুখ্য গবেষক অ্যানি করবেটের কথায়, সব মিলিয়ে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন গান মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে। পাশাপাশি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিউরোডিজেনারেটিভ (মস্তিষ্কের কোশ বা স্নায়ু কোশের যদি অবনতি ঘটতে থাকে, তাকে বলা হয় এটি) রোগের ঝুঁকি কমতে থাকে।


বড় ভূমিকা রয়েছে মেলামেশারও


ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব জেরিয়াট্রিক সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাটি। তাতে বলা হয়েছে, কখন কখনও গান বাজনা একটি সম্মিলিত প্রক্রিয়া হয়। সেই আয়োজনের ফলেই মস্তিষ্কেরও স্বাস্থ্য় ভাল থাকছে। কমছে অ্যালঝাইমার্স বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি। তাই গবেষকের কথায়, সাধারণ মানুষের মধ্য়ে গানের নানা সুফল প্রচার করা উচিত প্রশাসনের। এতে গান শেখার পাশাপাশি মস্তিষ্কেরও যত্ন নেওয়া হবে।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Vegan And Keto Diet: ডায়েটের গুণেই ভোল বদলাচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ! গবেষণায় নয়া চমক