সিনেমাহল হোক বা সন্ধের স্ন্যাকস। পপকর্ন অনেকের সঙ্গী বিভিন্ন ক্ষেত্রে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, এই পপকর্নেই রয়েছে বহু গুণ। ক্যান্সার প্রতিরোধ থেকে ফুসফুসের দেখভাল করে। জেনে নিন আর কী কী গুণ আছে পপকর্নের।                               


পপকর্নের উপকারিতা                                                                                       


উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকার কারণে পপকর্ন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। পাশাপাশি কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পপকর্ন  খুবই উপকারী একটি স্ন্যাকস হতে পারে। তবে সঠিক পরিমাণে খেতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এটি। থিয়ামিনের কারণে শর্করা হজমেও পপকর্ন সাহায্য করে।  


পপকর্ন ওজন কমাতেও খুব দারুণ কাজ করে। তাই যাঁরা ডায়েটে রয়েছেন, সন্ধেতে কী খাবেন ভাবছেন, তাঁরা এই অপশন বাছতে পারেন। এতে ফলেট থাকায় বিশেষ করে গর্ভধারণের সময়  নতুন কোষ তৈরিতে সহায়তা করে। পপকর্নে কিছু এসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিড থাকার কারণে এটি শরীরবৃত্তীয় কাজে সাহায্য করে থাকে। রেনাল ডিসফাংশনসহ কিডনির নানা সমস্যায় পপকর্ন বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


কার্ডিওভাসকুলার ফাংশান সুরক্ষিত রাখতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে পপকর্ন। বিটা ক্রিপটোজ্যানথিন থাকায় পপকর্ন ফুসফুস ভালো রাখে এবং ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও হেমোরয়েড সমস্যায় পপকর্ন খুবই কার্যকর এটি।


পপকর্নে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, সেগুলো ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি- র‍্যাডিকেলগুলোকে নষ্ট করে দিতে পারে। পপকর্নে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন বি১২ থাকে, যা নতুন রক্তকোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। এতে রক্তাল্পতা দূর হয়। পপকর্নে উপস্থিত ভিটামিন এ চুলের হারিয়ে যাওয়া কোমলতা ফিরিয়ে এনে চুলকে আরও উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারে। ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি প্রখর করতেও সাহায্য করে।


ভিটামিন এ, সি ও লাইকোপিন ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। পপকর্নে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পাকস্থলীর স্বাস্থ্যকে সঠিক রাখে।