কলকাতা: অনেক সময়ই ছোট বয়স থেকে বাচ্চাদের দৃষ্টিশক্তি (Kids Eye Health) ঝাপসা হওয়া থেকে চোখের নানা অসুখ হতে দেখা যায়। বর্তমানে বেড়েছে স্মার্টফোনের ব্যবহার। করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির পর থেকে পড়াশোনা কিংবা যেকোনও কিছুর জন্যই ভরসা করতে হচ্ছে স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটরের উপর। এর ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চোখ থাকছে স্ক্রিনে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর ফলে বাচ্চাদের চোখে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। কীভাবে বাচ্চাদের চোখ সুস্থ রাখবেন, সে সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


বাচ্চাদের চোখ সুস্থ রাখার উপায়-


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পড়াশোনা কিংবা প্রয়োজনীয় কারণ ছাড়া বাচ্চাদের হাতের সামনে থেকে দূরে রাখুন স্মার্টফোন থেকে কম্পিউটর। অন্য সময় ওগুলো ওদের ব্যবহার করতে দেবেন না। এর পরিবর্তে বাড়ির ভিতরে অন্যভাবে খেলার ব্যবস্থা করতে পারেন। ছবি আঁকা, পাজল সলভ করা, মাটি দিয়ে খেলনা তৈরি ইত্যাদি নানা কিছু দিয়ে ওদের ব্যস্ত রাখতে পারেন।


২. বাচ্চার হাতের অন্তত ৮ থেকে ১২ ইঞ্চি দূরে খেলনা রাখুন। তবেই দৃষ্টিশক্তি উন্নত হবে।


৩. ইলেকট্রনিক্স জিনিস ছাড়া বাচ্চাদের অন্য খেলায় ব্যস্ত রাখুন। অভ্যাস করান। 


৪. চোখের নানা ব্যায়াম করাতে পারেন বাচ্চাদের।


আরও পড়ুন - Heart Attack: রোজকার যে অভ্যাসে বদল আনলেই দূরে থাকবে হার্ট অ্যাটাক


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য প্রতিদিন খাবার পাতে বেশ কয়েকটি উপকরণ রাখা প্রয়োজন।  সাধারণত চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য সবুজ শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। ব্রকোলির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে lutein। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপকরণ চোখের দৃষ্টি ভাল করতে সাহায্য করে। ঢ্যাঁড়শে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ beta-carotene। এছাড়াও রয়েছে zeaxanthin, lutein এবং ভিটামিন সি। এই সব উপকরণই চোখের জন্য বেশ ভাল। Flax seeds- এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা চোখের স্নায়ু সুদৃঢ় করতে সাহায্য করে। ওয়ালনাট বা আখরোটের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক এবং ভিটামিন ই। চোখ ভাল রাখতে এই দুই উপকরণ অপরিহার্য। বিভিন্ন সাইট্রাস ফল যা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সেগুলো চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং দৃষ্টিশক্তি ভাল করতে সাহায্য করে। আখরোটের মতো আমন্ডেও থাকে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক এবং ভিটামিন ই। চোখ ভাল রাখতে এই দুই উপকরণ অপরিহার্য।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।