কলকাতা: দুধ দিয়ে তৈরি নানা খাবার বাঙালির বরাবর প্রিয়। আর সেই তালিকাতেই রয়েছে খোয়া ক্ষীর। এই দিয়ে যেমন মিষ্টি তৈরি হয়, তেমনই নানা রান্নাও হয়ে থাকে। কিছু রান্নার স্বাদ বাড়াতে খোয়া ক্ষীরের বিকল্প মেলা ভার। কিন্তু আজকাল সব কিছুর মতোই ক্ষীরের মধ্যেও ভেজাল মিশছে। মিশছে আটা, চালের গুঁড়ো। এগুলি বাদ দিয়ে আসল ক্ষীর কিনে আনা রীতিমতো যুদ্ধের ব্যাপার। কারণ প্রথমেই চিনে নিতে হয় আসল ক্ষীর কোনটা। কীভাবে চিনবেন ? রইল সহজ কয়েকটি উপায়।


গরম জল ও আয়োডিন দিয়ে পরীক্ষা - এফএসএসএআই এই পরীক্ষাটি করে দেখার পরামর্শ দিয়েছে। এর জন্য় ঘরে কিছুটা আয়োডিন টিংচার থাকা চাই। একটি পাত্রে প্রথমে কিছুটা গরম জল নিন। এবার সেই পাত্রে কিনে আনা খোয়া ক্ষীর কিছুটা ফেলে দিন। তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা আয়োডিন দিতে হবে। আয়োডিন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষীরের রং নীল হয়ে গেলে তাতে ভেজাল রয়েছে। যদি রং না পাল্টায় তবে ক্ষীরটি খাঁটি।  


হাতে নিয়ে পরীক্ষা -  দোকানে গেলে এই পরীক্ষাটি করে দেখতেই পারেন। একমাত্র এই পরীক্ষাটিই সেই সময় দোকানে দাঁড়িয়ে করা সম্ভব। খোয়া ক্ষীরের উপরটি কিছুটা গুঁড়ো ও তৈলাক্ত মতো দেখতে হয়। অল্প একটু হাতে নিয়ে ঘষলেই দেখা যাবে, হাতের মধ্যে পিচ্ছিল মতো লাগছে। এটা খাঁটি ক্ষীরের লক্ষণ। ক্ষীরের মধ্যে ভেজাল থাকলে সেটি পিচ্ছিল হবে না এত। 


চেখে নিয়ে পরীক্ষা - আসল ক্ষীরের স্বাদের সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। তাদের জন্য এই পরীক্ষা সেরা। অল্প একটু ক্ষীর চেখে দেখতে পারেন। এতে ভেজাল থাকলে স্বাদ অন্যরকম হবে। সেটা জিভেই ধরা পড়বে।


অ্যাসিড দিয়ে পরীক্ষা - অনেক সময় খোয়া ক্ষীরের মধ্যে ভেজাল হিসেবে ফর্ম্যালিন মেশানো হয়ে থাকে। বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য এটি মেশানো হয়। এই ফর্ম্যালিন বুঝতে সালফিউরিক অ্যাসিডের পরীক্ষা করতে হবে। তবে পরীক্ষাটি খুব সাবধানে করা জরুরি। কারণ সালফিউরিক অ্যাসিড খুব বিপজ্জনক অ্যাসিড। প্রথমে একটি পাত্রে কিছুটা ক্ষীর নিতে হবে। এর পর এতে ঘন সালফিউরিক অ্যাসিড দিন। ক্ষীরের রং নীল বা বেগুনি হয়ে গেলে বুঝতে হবে ওতে ফর্ম্যালিন রয়েছে। আর তা না হলে খোয়া ক্ষীর একেবারে খাঁটি।


আরও পড়ুন - Real or Fake Coffee: কফি খাচ্ছেন না চিকোরি ? চিনে নিন ৪ উপায়ে