Rice Gruel Top Health Benefits: ভাতের ফ্যান রান্নার পর ফেলে দেওয়াই রীতি‌। বেশিরভাগ মানুষই তাই করে থাকেন। কিন্তু এই ফ্যান শরীরের জন্য যথেষ্ট উপকারী। ভাতের ফ্যানের মধ্যে নানাবিধ পুষ্টিগুণ রয়েছে‌। যা ভাতের তুলনায় কোনও অংশে কম নয়। ভাতের ফ্যান স্বাস্থ্যের বেশ কিছু উপকারে লাগে। কী কী উপকারে লাগে এই ফ্যান ? বিশদে জানা যাক এবার।


ভাতের ফ্যানের গুণ


ত্বকের যত্ন - ভাতের ফ্যান ত্বকের যত্ন নিতে কাজে লাগে। এই ফ্যান স্কিন টোনার হিসেবে দারুণ কাজ দেয়। এছাড়াও ফেস মাস্ক হিসেবেও ফ্যান কাজে  লাগানো যায়। এতে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমে। ত্বক ময়শ্চারাইজড থাকে।


ব্রণর উপশম - ব্রণর সমস্যায় জেরবার ? ভাতের ফ্যান ঠাণ্ডা করলে যে মাড় পড়ে, সেটি ব্রণতে লাগান। উপশম পাবেন।


চুলের যত্ন - চুলের উপকারেও ভাতের ফ্যান একইভাবে উপকারী। এটি শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনারের মতো ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে চুলের গোড়া মজবুত হয়। পাশাপাশি চুল পড়া কমে যায়। 


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় - রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ভাতের ফ্যান। কারণ এর মধ্য়ে একাধিক পুষ্টিপদার্থ।


পেট খারাপের উপশম - পেট খারাপ কমাতে সাহায্য করে ভাতের ফ্যান। পেট খারাপ বা ডায়রিয়া হলে ভাতের ফ্যানের মধ্যে এক চিমটে নুন মিশিয়ে নিন। এর পর ফ্যানটি খেয়ে নিলে পেট খারাপ সেরে যাবে।


হজমে উপকারী - খাবার খাওয়ার পর অনেকে বদহজমে ভোগেন। খাবার হজম করাতে ওস্তাদ ভাতের ফ‌্যান। ফলে গলা ও বুক জ্বালার সমস্যাও কমে।


কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় - অনেকে ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভোগেন। এই রোগের জেরে শরীরে আরও সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু ভাতের ফ‌্যান খেলে বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিক থাকে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের থেকে মুক্তি মেলে সহজেই‌।


ওজন কমায় - ওজন কমাতেও উপকারী ভাতের ফ্যান। এটি পেট ভরিয়ে রাখে অনেকটা সময়। ফলে বারবার খিদে পায় না। যা ওজন কমাতে পরোক্ষভাবে সহায়ক।


গাছের সার - বাড়িতে গাছের ছোট্ট বাগান করেছেন ? গাছের গোড়ায় সার হিসেবে দিতে পারেন ফ্যান। এতে গাছের দ্রুত বৃদ্ধি হবে। 


ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন -  Weight loss: ওবেসিটি নিয়ে আর চিন্তা নয়, ৫ ফলই দেখাবে সুস্থ থাকার পথ