কলকাতা: খাবারের পুষ্টিগুণ শুধু শরীরের কাজে লাগে না। পাশাপাশি এটি মনও ভাল রাখে। সম্প্রতি সে কথাই আবার প্রমাণিত হল একটি গবেষণায়। দেখা গেল খাবারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে মন ও তার নানা সমস্যা। তাই খাবারে বদল আনলে অনেকটাই সামাল দেওয়া যায় সেই সমস্যাগুলি। সম্প্রতি স্ট্যান্ডফোর্ড মেডিসিনের একটি গবেষণায় তেমনটাই দেখা গিয়েছে।


জটিল মানসিক সমস্যার সমাধান


বেশ কিছু জটিল মানসিক সমস্যার সমাধান হিসেবে কাজ করছে এই ডায়েট। দেখা গিয়েছে, ক্রিৎজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মতো সমস্যাতে কার্যকরী হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট ডায়েট। যার নাম কেটোজেনিক ডায়েট। প্রসঙ্গত, এই দুই মানসিক রোগে রোগীদের নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। যে ওষুধগুলি তারা খান, সেগুলি মস্তিষ্কের বিভিন্ন ড্রাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই ওষুধগুলিরও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। যার জেরে রোগীদের মেটাবলিক স্বাস্থ্য় বিঘ্নিত হয়। তাদের ওজন বাড়তে থাকে দ্রুত। এই ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণেই অনেকে ওষুধ খেতে চান না। এমনকি ওষুধ এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন। এই অবস্থায় তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন পড়ে।


কেটো ডায়েটই কি কঠিন রোগের চাবিকাঠি ?


কেটোজেনিক ডায়েটেই কি কঠিন মানসিক রোগের চাবিকাঠি রয়েছে ? সম্প্রতি এরই উত্তর খুঁজে বার করলেন চিকিৎসকরা। তাদের ওই গবেষণায় জানা গিয়েছে, কিটোজেনিক ডায়েট  ক্রিৎজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মতো রোগের মানসিক রোগীদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর জেরে ওবেসিটিজনিত সমস্যা আর দেখা দেয় না তাদের মধ্যে। পাশাপাশি ওষুধ খাওয়া নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন কম হতে হয়। 


কিটোজেনিক ডায়েট আদতে কী ?


কিটোজেনিক ডায়েটে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। পাশাপাশি এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম থাকে। স্বাভাবিকের তুলনায় কম হয় এই পরিমাণ। এর ফলে শরীর নিজে থেকে ফ্যাটকে ভাঙতে শুরু করে। ভেঙে কিটোন তৈরি করে। এর পর কিটোন রক্তের মধ্যে সঞ্চালিত হতে শুরু করে। এর ফলে শরীর প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। এই কিটো ডায়েটই দেওয়া হয় ওই রোগীদের। দেওয়ার পর দেখা যায়, তাদের ওজন আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। যা থেকে এই সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছেন চিকিৎসকরা।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Health Tips: গর্ভবতী মহিলার মদ্যপানে হতে পারে বড় বিপদ