কলকাতা: ধীরে ধীরে বদল আসছে মরশুমে‌। আর তার সঙ্গেই বাড়ছে তাপমাত্রা। এই সময় অনেকেই ঘন ঘন শরীর খারাপে ভোগেন‌‌। ঠান্ডা গরম থেকে অনেকে এই সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। আবার ধুলোবালি থেকেও অনেকের শরীর খারাপ হয়ে যায়। কেউ কেউ অ্যালার্জিতে ভোগেন এই ধুলোবালির কারণেই। তবে এই সর্দিগর্মি আর অ্যালার্জি থেকে রেহাই পাওয়া খুব কঠিন নয়। ঘরোয়া কিছু উপকরণই এই সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে।


কেন অ্যালার্জি হয় ?


শরীরে হিস্টামিনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা থাকে। এর পরিমাণ বেড়ে গেলেই অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। শরীরে অ্যালার্জির নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে শুরু করে। 


অ্যালার্জি ও সর্দিগর্মি থেকে রেহাই পাওয়া ঘরোয়া উপায় 



  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার - ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে এছাড়াও, এর একটি বড় কাজ হিস্টামিনের মাত্রা সংশোধন। এর মাত্রা কমিয়ে স্বাভাবিক করে ভিটামিন সি। যার ফলে অ্যালার্জি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

  • প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার - প্রোবায়োটিক শরীরের জন্য় নানা কারণে জরুরি। তার মধ্যে একটি হল অ্যালার্জি প্রতিরোধ। ২০১৫ সালের একটি গবেষণা জানাচ্ছে, এই ধরনের খাবার খেলে অ্যালার্জির সমস্যা সহজেই ঠেকানো যেতে পারে।

  • ইউক্যালিপটাস তেল - এটি একটি এসেনশিয়াল তেল ।  এসেনশিয়াল তেলের গুণগ্রাহীরা বলেন, ইউক্যালিপটাস তেল অ্যালার্জির সমস্যা  অনেকটাই প্রতিহত করে। 

  • পুদিনা তেল - অনেকে আবার এসেনশিয়াল তেল হিসেবে পুদিনা তেলের কথা বলে থাকেন। পুদিনা তেলেও একইভাবে অ্যালার্জি প্রতিরোধী গুণ রয়েছে। তবে এটি ব্যবহারের আগে কিছুটা লঘু করে নেওয়া জরুরি।

  • মধু - মধুর মধ্য়ে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। তাই অনেকেই ঋতু বদলের সময় মধু খাওয়ার পরামর্শ দেন। মনে করা হয়, অ্যালার্জির সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে মধু। তবে এই মধুর সপক্ষে এখনও পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ মেলেনি।


অ্যালার্জি এড়াতে কী কী করবেন ?


অ্যালার্জির সমস্যা এড়াতে জীবনযাপনে কিছু বদল আনা জরুরি।



  • মাস্ক ব্যবহার করা - নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করলে ধুলোবালির সংস্পর্শে আসা হবে না। ফলে এর থেকে অ্যালার্জি কম হবে। 

  • আর্দ্র জায়গা এড়িয়ে যাওয়া - খুব বেশি আর্দ্র জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে। এই ধরনের পরিবেশে অ্যালার্জেন সক্রিয় হয়ে ওঠে। তা থেকেই অ্যালার্জি হয়।


আরও পড়ুন - Health News: প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে কীসে ? কীই বা লক্ষণ, কেন হয় এই কঠিন ব্যাধি ?