কলকাতা: প্রায়শই আমাদের মা ঠাকুমাদের দেখা যায় নিজেদের জীবনের গল্প (Memory) পরিবারের ছোট সদস্যদের সঙ্গে গল্পের আকারে ভাগ করে নিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্তানদের বেড়ে ওঠার সময় পরিবারের বড় সদস্যদের স্মৃতি ভাগ করে নেওয়া ওদের মানসিক বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করে। জার্নাল অফ পার্সোনালিটিতে সম্প্রতি একটি তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, গল্পের আকারে নানা স্মৃতি সন্তানদের সঙ্গে ভাগ করে নিলে ওদের স্মৃতিশক্তি উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অনেক উন্নতি হয়। অবসাদ, স্ট্রেট, উদ্বেগের মতো সমস্যাও প্রতিরোধ করা যায় এর মাধ্যমে।


আরও পড়ুন - Hyperglycemia: হাইপারগ্লাইসেমিয়া কী অসুখ? কাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি?


গবেষকরা ১১৫ জন মা-কে নিয়ে একটি সমীক্ষা করেন। যেখানে টানা এক বছর প্রতিদিন তাঁরা তাঁদের জীবনের নানা গল্প শেয়ার করে নেন সন্তানদের সঙ্গে। নিজের জীবনের নানা মজার স্মৃতি কিংবা নানা মজার গল্প ভাগ করে নিতে থাকেন সন্তানদের সঙ্গে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এর মাধ্যমে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক উভয় দিকেই নানা উন্নতি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়ই আমাদের চারপাশে দেখা যায়, বাবা-মায়ের মধ্যের ঝগড়া কিংবা বিবাহবিচ্ছেদ প্রভাব পড়ছে শিশুদের মনে। শিশু মনে পরবর্তীকালে এই প্রভাবে নানা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই গবেষণা শেষে গবেষকরা সেই তথ্যে আরও প্রকাশ করেছেন যে, যে সমস্ত সন্তানদের সঙ্গে কেবলমাত্র বাবা কিংবা মা থাকেন, তাঁদের আরও বেশি করে নিজেদের জীবনের নানা প্রেরণা দেওয়া গল্প কিংবা মজাদার ঘটনা ভাগ করে নেওয়া দরকার সন্তানদের সঙ্গে।


এক বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, তিনি নিজে সন্তানের অভিভাবক, আর এই পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তানের মানসিক উন্নতি ব্যাপক পরিমাণে হয়। শুধু তাই নয়, অনেক সময়ই বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের কারণে সন্তানদের মধ্যে অবসাদ, উদ্বেগ এবং স্ট্রেস দেখা দেয়, সেগুলো থেকেও মুক্তি পাওয়ার অন্যতম রাস্তা এটি।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।